কয়েসের আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ২ জুন
আগামী ২ জুন সিলেট-৩ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। এছাড়া ওইদিন আরও তিন সংসদীয় আসন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ করোনা কারণে বন্ধ হওয়া সব নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সোমবার (২৪ মে) ইসির ৮০তম কমিশন বৈঠক শেষে ইসির সিনিয়র সচিব এসব তথ্য জানান।
হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ‘চার সংসদীয় আসনে ভোটের তফসিল আজ ঘোষণার কথা থাকলেও কমিশন সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। এইসব আসনে করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানোর কারণে আপাতত ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেনি নির্বাচন কমিশন। আগামী ২ জুন ভোটের তারিখ ঠিক করা হবে।’
এর আগে ১৯ মে ইসি সচিব জানান, লক্ষ্মীপুর-২, সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনে আগামী জুলাইয়ে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব আসনে উপনির্বাচনের তফসিল আগামী ২৪ মে ঘোষণা করা হবে। কিন্তু করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ ৩০ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানোর কারণে আগামী ২ জুন কমিশন বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইসি সচিব বলেন, ‘মধ্য জুলাইয়ে নির্বাচন করতে গেলেও ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনে নির্বাচন করার সাংবিধানিক সময় শেষ হয়ে যাবে। তবে সেই সংবিধান অনুযায়ী সিইসির বিশেষ ক্ষমতাবলে নির্ধারিত সময়ের পরবর্তী ৯০ দিনের জন্য সময় বাড়ানো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শূন্য আসনে যেহেতু এসব উপনির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তাই কমিশন এই চারটি আসনে জুলাই মাসে নির্বাচন আয়োজন করবে।’
সংবিধান অনুযায়ী কোনো সংসদীয় আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বিধান রয়েছে। তবে দৈব-দুর্বিপাকের কারণে নির্বাচন করতে না পারলে আরও ৯০ দিন পেছাতে পারে ইসি। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে গত ১ মার্চ থেকে সবধরনের নির্বাচন স্থগিত করে কমিশন। এছাড়া এই সময় অনেক নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হলেও শূন্য হওয়া লক্ষ্মীপুর-২ ও সিলেট-৩ আসনের ভোটের ব্যাপারে সিইসির বিশেষ ক্ষমতাবলে এসব নির্বাচনের মেয়াদ ৯০ দিন বাড়ানো হয়। কিন্তু এই ৯০ দিন সময়ও পার হয়ে যাচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র এমপি শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুলের সংসদ সদস্য পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। কুয়েতের ফৌজদারি আদালতে ঘোষিত রায়ে নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন তিনি। এ কারণে তিনি বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য নন। তাই সংবিধানের ৬৭(১(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রায় ঘোষণার তারিখ (গত ২৮ জানুয়ারি) থেকে তার আসন শূন্য হয়েছে।
অন্যদিকে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় আসনটি শূন্য হয়। গত ১১ মার্চ রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান তিনি। ঢাকা-১৪ আসনের এমপি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের আসলামুল হক গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। বাংলাদেশের সাবেক আইনমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কুমিল্লা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরু গত ১৪ এপ্রিল ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এতে ওই আসনটি শূন্য হয়।