গণ অধিকার পরিষদ এবি পার্টি নাগরিক ঐক্যসহ ১০ দল নিবন্ধনের সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে বাদ

গণ অধিকার পরিষদ এবি পার্টি নাগরিক ঐক্যসহ ১০ দল নিবন্ধনের সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে বাদ

কয়েক দফা যাচাই-বাছাই শেষে প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে আসা এক ডজন দলের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের তথ্য নেওয়ার পর ‘আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি’, ‘গণ অধিকার পরিষদ’ ও‘নাগরিক ঐক্য’সহ বাকি ১০টি দলকে সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

অন্যদিকে দুটি দলকে নিবন্ধনের জন্য চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। দল দুটি হলো—‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন’ ও ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি’। নতুন দুটি দলের বিষয়ে সোমবার পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তথ্যের সঙ্গে মাঠের তথ্যের মিল না পাওয়ায় নিবন্ধনপ্রত্যাশী ১০টি দলকে বাদ দেয়া হয়েছে। রবিবার কমিশন সভা শেষে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

তিনি বলেন, ‘যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি নিবন্ধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এ লক্ষ্যে দল দুটিকে নিয়ে আগামীকাল (সোমবার) পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে কারো কোনো আপত্তি থাকলে তা নিষ্পত্তি করে কমিশন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। আপত্তি নিষ্পত্তির পরে কমিশন সন্তুষ্ট হলে দল দুটিকে নিবন্ধন দেওয়া হবে।’

দশটি দলের আবেদন বাতিলের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, তারা যে তথ্য দিয়েছে মাঠ পর্যায়ে যাচাই করে গরমিল পাওয়ায় তাদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে।’

আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ২১টি জেলা ও ১০০টি উপজেলা বা থানায় কার্যকরী কমিটি ও কার্যালয় এবং প্রতিটি উপজেলায় দলের অন্তত ২০০ জন ভোটার থাকার নিয়ম রয়েছে। দুদফায় এসব দলের মাঠ কার্যালয় ও কমিটি যাচাই করেছে ইসি। দুই ধাপে পাওয়া প্রতিবেদন রবিবার কমিশন সভায় তোলা হয়। এতে যে দলগুলো শর্ত পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী তারাই নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।

এর আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে ৯৩টি আবেদনের বিপরীতে ১২টি দলকে প্রাথমিক বাছাই করেছিল নির্বাচন কমিশন। নিবন্ধনপ্রত্যাশী ১২টি রাজনৈতিক দলের তথ্য মাঠ পর্যায়ে যাচাই করা হবে বলে গত ১১ এপ্রিল জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

সেই ১২টি দল হচ্ছে: এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণ অধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)।

ইতোমধ্যে বিভক্ত হয়ে যাওয়া গণ অধিকার পরিষদের আবেদনের সময় দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ড. রেজা কিবরিয়া ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। নাগরিক ঐক্যের নেতৃত্বে রয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না। এবি পার্টির নেতাদের বড় অংশই জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নেতা।