সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা

গণমাধ্যমের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ভিসানীতি অবমাননাকর

গণমাধ্যমের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ভিসানীতি অবমাননাকর

দেশের গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করতে মার্কিন ভিসানীতি, যা দেশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের সামিল বলে মনে করছেন সাংবাদিক নেতারা। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সমাবেশ থেকে এ মন্তব্য করা হয়। এসময় ভিসানীতির নামে স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ মানা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট আয়োজিত ভিসানীতির নামে সংবাদমাধ্যমে মার্কিন চাপের প্রতিবাদে সাংবাদিক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা, ডিবিসি টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও দ্য ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী। সমাবেশে তিনি বলেন, ‘একটি স্বাধীন দেশের গণমাধ্যমের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ভিসানীতি অবমাননাকর। দেশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের সামিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ চলে সংবিধানের ওপর। একটি স্বাধীন দেশের ওপর বাইরের দেশের হস্তক্ষেপ মানি না মানবো না। আমেরিকা বন্ধুর আচরণের বিপরীতে প্রভুর আচরণ করতে চায়। আমরা সেটি মানবো না। তারা ভিসানীতির ভয় দেখিয়ে অযাচিত হুমকি দেবেন, সেটা মেনে নিতে পারি না। বাঙালি জাতিকে ভিসানীতি বা স্যাংশনের ভয় দেখিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াবো। নিজের শক্তি দিয়ে গণতান্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’

জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওবায়দুল হক খানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, ডিইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সংগঠনের সভাপতি কামরুল ইসলাম, সদস্য সচিব সাহিন বাবু, সিনিয়র সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান, আবু সাঈদ প্রমুখ।

এসময় মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ভিসানীতি নিয়ে আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন নই। আমেরিকা বছরে ভিসা দেয় মাত্র ২৭ হাজার। এতে সারাদেশে মানুষের কি সমস্যা। ভিসানীতি তো তাদের আছেই, প্রতি বছর ১ লাখ আবেদন করে আর ভিসা দেয় ২৭ হাজার। 

তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকার গণমাধ্যম স্বাধীন। সেখানে পিটার হাস এ কথা বলতে পারেন না। অথচ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ওপর ভিসানীতির কথা বলছেন পিটার হাস। এটা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর একটি চাপ সৃষ্টি করা।  ভিসাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চায় পিটার হাস আপনি অতিথি মানুষ। তাই আপনার নীতির মধ্যে থাকুন। বাংলাদেশের স্বাধীন গণমাধ্যম কোনো আত্মসমর্পণ করে না। করবে না।’

আবদুল জলিল ভূঁইয়া বলেন, ‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কথা উঠলেই একাত্তর সালের কথা মনে পড়ে। খুনিদের সরদার আমেরিকা। ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম বলেন, আমার দেশ আমার। তুমি মার্কিনি কথা বলার কে।’

এসময় অন্য নেতারা বলেন, ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কিভাবে কলুষিত করা যায়, সেই চেষ্টা করছে। আমেরিকা ভিসানীতি দিয়ে আমাদের ভয় দেখাচ্ছে। বাঙালি জাতিকে ভয় দেখানো সহজ নয়।’ গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান তারা।