দিরাই এসোসিয়েশন সিলেটের অভিষেকে পরিকল্পনামন্ত্রী

গ্রামীণ জনগণের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে

গ্রামীণ জনগণের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেছেন, আমাদেরকে গ্রামীণ মানুষের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ তাদের অধিকাংশই খেটে খাওয়া মানুষ। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারী, নাড়ি ও গ্রামীণ মানুষের প্রতি টান রয়েছে। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আমি এটা বুঝেছি। বাংলাদেশ সরকার সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বৃহত্তর সুনামগঞ্জের জন্য অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। সুনামগঞ্জবাসীর স্বপ্ন পূরণে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু করেছে। আমাদের এসোসিয়েশনগুলো যদি তাদের অবস্থান থেকে কাজ করে, তবে গ্রামীণ মানুষের জীবনমান আরো বেশি উন্নত হবে।
সিলেটে অবস্থানরত দিরাইবাসীদের প্রিয় সংগঠন ‘দিরাই এসোসিয়েশন সিলেট’-এর অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ রাব্বী কামাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুক্রবার বিকাল পাঁচটায় নগরীর জিন্দাবাজারস্থ একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী।
এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো: সুমন চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও এসোসিয়েশনের সহ সাধারণ সম্পাদক রিংকু তালুকদারের সঞ্চালনায় উপদেষ্টাদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মাউশি সিলেট অঞ্চলের পরিচালক এম এ মান্নান খান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ, এমসি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার সলিল বরন দাস, প্রভাষক রেজাউর রহমান, দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সুমন রায়, এসোসিয়েশনের কার্যকরী সদস্য গুলজার আহমদ। অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করেন এডভোকেট সোয়েব আহমদ চৌধুরী, মো: মঈনুল ইসলাম জুবের,স্বাগতম দাস, সুমিত্রা রায়, সার্জেন্ট (অব:) আবুল হোসেন, সব্যসাচী রায়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সাখাওয়াত চৌধুরী এবং গীতা পাঠ করেন এডভোকেট প্রণয় কান্তি চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে অভিষেক স্মারকের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপিসহ অতিথিবৃন্দ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, একজন সত্যিকার জনপ্রতিনিধি কখনো বিভাজন সৃষ্টি করেন না। আমাদের পরিকল্পনামন্ত্রী সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কখনো বিভাজন সৃষ্টি করেননি। বরং তাঁর কাছে যখনই গিয়েছি তিনি আন্তরিকভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছেন। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে তাঁরও বিশেষ অবদান রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি