জেলা পরিষদ নির্বাচন : দ্বিমুখী লড়াই জমবে জগন্নাথপুরে
রাত পোহালেই হবে জেলা পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ হয়েছে আগেই। তবে এখনও নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে শেষ মুহূর্তের ভোট প্রার্থনা করছেন।
সুনামগঞ্জের জেলা পরিষদ নির্বাচনের সদস্য পদে জগন্নাথপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত ৮ নং ওয়ার্ড। অভিযোগ রয়েছে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে প্রবাসি অধ্যুষিত এ ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা কালো টাকার খেলায় মেতে উঠেছেন। তবে খেলা হবে দ্বিমুখী; ভোটারদের সাথে কথা বলে এমন আভাস পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খায়রুল কবির রুমেন (গোড়া) ও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট (মোটরসাইকেল) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সদস্যপদে জগন্নাথপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত ৮ নং ওয়ার্ডে সাবেক সদস্য জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য মাহতাবুল হাসান সমুজ (তালা), উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন মাস্টার (ঘুড়ি) ও যুবলীগ নেতা হারুন মিয়া ( টিউবওয়েল) প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন। সংরক্ষিত ৩ নং ওয়ার্ড নারী সদস্য পদে জগন্নাথপুর, শান্তিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত এলাকায় তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁরা হলেন ফৌজি আরা শাম্মি (লাটিম), সানজিদা ডায়না (ফুটবল) ও জুবলি বেগম (মাইক)।
উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু কিছু প্রার্থী কালো টাকার খেলায় মেতে উঠে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চেষ্টা করলেও জগন্নাথপুর উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা এ খেলায় নেই। আশা করছি সবাই যোগ্যতার মাপকাঠিতে ও ভালো লোককে ভোট দিবে।’
সদস্য পদে প্রার্থী সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য মাহাতাবুল হাসান সমুজ বলেন, ‘আমি বিগত ৫ বছর জেলা পরিষদ সদস্য ছিলাম। আশা করি এবারও ভোটাররা আমাকে নির্বাচিত করে উপজেলার উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ দিবেন।’
উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন মাস্টার বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে (জনপ্রতিনিধি) ভোটারদের সাড়া পাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি ভোটাররা তাদের সুচিন্তিত রায় দিয়ে উপজেলার মর্যাদা ও উন্নয়ন এগিয়ে নিতে আমাকে নির্বাচিত করবে।’
আরেক প্রার্থী উপজেলা যুবলীগ সদস্য হারুন মিয়া বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিরা সচেতনভাবে সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে তাদের সিদ্ধান্ত দিবেন। আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’
একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত জগন্নাথপুর উপজেলা। ভোটার সংখ্যা ১২০। তার মধ্যে দুই জন বিদেশে রয়েছেন। উপজেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে সকাল ৯ টায় ভোটগ্রহন শুরু হবে। শেষ হবে দুপুর ২টায়।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে।’