দার্জিলিংয়ে নতুন অ্যাডভেঞ্চার, রাতেও চলবে টয়ট্রেন
‘কস্তো মজা হায় রেলাইমা, রমাইলো ওকালি ওরালি’—পরিণীতা সিনেমায় সাইফ আলী খানের টয়ট্রেনে চেপে সেই গানের কথা সকলের জানা। এবার সেই টয়ট্রেনেই চেপে হবে রাতের স্নিগ্ধতায় অ্যাডভেঞ্চারস সফর। পাহাড়ের কুয়াশা ভেদ করে প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে ঘুম স্টেশন। ভাবলেই উত্তেজনার পারদটা বেশ খানিকটা বাড়িয়ে দেয়। তবে অসম্ভব নয়, ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এই সুযোগ আসছে খুব শীঘ্রই।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) থেকে আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে ‘ঘুম উইন্টার ফেস্টিভ্যাল’। তার জেরে টয়ট্রেনের রাত্রিকালীন সাফারি শুরু করবে দার্জিলিং-হিমালয়ান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আজ (বৃহস্পতিবার) থেকেই এই জয়রাইডের টিকিট পাওয়া যাবে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে ওয়েবসাইটে। এই প্রথমবার পর্যটকরা টয়ট্রেনের রাত্রিকালীন সফর উপভোগ করতে পারবে বলে জানিয়েছে ডিএইচআর কর্তৃপক্ষ। ঘুম স্টেশন থেকে দার্জিলিং স্টেশন পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা দুবার এই ‘নাইট রাইড’ হবে বলে জানিয়েছেন তারা। তাই দেরি না করে টয়ট্রেনের রাতের সফর অ্যাডভেঞ্চারস করতে আপনাকে কেটে নিতেই হবে টিকিট।
ঘুম রেল স্টেশনের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭ হাজার ৪০৭ ফুট। এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ রেলওয়ে স্টেশন হিসেবে ঘুম রেল স্টেশন স্বীকৃত। এই ঘুম উৎসবের শুরু হয়েছিল গত বছর থেকেই। বাতাসিয়া লুপের জয় রাইডের কথা কারও অজানা নেই। এ ছাড়া দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে টয়ট্রেনের আকর্ষণ বেশি বলেই ঘুম উৎসবে টয়ট্রেনকেও জুড়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই পাহাড়ে শীত জাঁকিয়ে পড়ে এবং ডিসেম্বর এলেই পাহাড়ে পর্যটকদের ঢল নামে। তাই এই সময়টাকেই ঘুম উৎসবের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। দার্জিলিং পাহাড়কে একটি বিশ্ব বিখ্যাত পর্যটন গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরার পাশাপাশি সংস্কৃতি, অ্যাডভেঞ্চার ও পর্যটন খাতকে উন্নীত করাই এই উৎসবের লক্ষ্য ডিএইচআর কর্তৃপক্ষের। এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য প্রদর্শনের সঙ্গে সঙ্গে মহামারি-ক্লান্ত পর্যটকদের পাহাড়ের দিকে আকৃষ্ট করাই তাদের লক্ষ্য।
এই প্রথমবার পর্যটকরা রাতে টয়ট্রেনে চড়ার সুযোগ পাবেন। মূলত বেশি সংখ্যক যাত্রীর আকর্ষণ বাড়াতেই টয়ট্রেন নিয়ে এমন ভাবনা বলে জানালেন দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে অধিকর্তা প্রিয়াংশু।