নিরাপত্তাদারকারীদের ওপর স্যাংশন দিয়ে তাদের কাছেই উল্টো নিরাপত্তা চাওয়া নিয়ে প্রশ্ন শেখ হাসিনার
নিরাপত্তাদারকারীদের ওপর স্যাংশন দিবে আবার তাদের কাছে নিরাপত্তা চাইবেন এটা কেমন কথা সেই প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পিটার হাস যে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলেন, আমেরিকার সরকার থেকে আমার অ্যাম্বাডেরকে কী নিরাপত্তা দেওয়া হয়? ব্যক্তিগতভাবে তাদের কোনো নিরাপত্তা দেওয়া হয় না সেখানে। অথচ এখানে দূতাবাসে ১৫৮জন পুলিশ নিয়োগ দেওয়া আছে। তার নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে পিটার হাস কর্তৃক নিরাপত্তাহীনতার দাবি বিষয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের নানা দিক তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, হলি আর্টিজানের ঘটনার পরে আলাদা সতর্কতা করা হয়েছিলো। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। আরও অনেক দূতাবাস আছে। আমেরিকান দূতাবাসে বিশেষ কিছু দিলে তারাও চাইবে। এই যে বারবার নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্ন হচ্ছে তার কোন অর্থ নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকাতে প্রতিদিনই গুলি হয়-স্কুলে, বাড়ির ভিতরে গিয়ে, খাবার দোকানে গুলি হয়। এরকম যত্রতত্র গুলি করে। ওদের সেই নিরাপত্তা সমস্যা আছে, আমাদের এখানে সেটা নেই। আমরা সন্ত্রাসবাদের জিরো টলারেন্স দিয়ে রেখেছি। নিরাপত্তার ওপরে স্যাংশন দিবে আবার তাদের কাছ থেকে নিরাপত্তা চাইবে এটা কেমন কথা।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে অধিবেশন শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যে পৌঁছান তিনি। দুই দেশে মোট ১৬ দিনের সফর শেষে বুধবার (৪ অক্টোবর) দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।