প্রথম প্রথম তো একটু খাওয়াতেই হয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রথম প্রথম তো একটু খাওয়াতেই হয়: প্রধানমন্ত্রী

সরকার কৃষিপণ্য রফতানির দিকে নজর দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আমের স্বাদ একদম আলাদা। এবার আম পাঠালাম। প্রথম প্রথম তো একটু খাওয়াতেই হয়। তারপর আস্তে আস্তে পাঠাতে হয় তাই না...সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

এ বছর আমের মৌসুমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত-পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের আম পাঠিয়েছেন। কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার এবং রফতানির দিকটি মাথায় রেখে এই আম পাঠানো হয়।

সোমবার (৪ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশন থেকে এসে এই সংবাদ সম্মেলন করছেন প্রধানমন্ত্রী।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বিশেষ করে কৃষিজাত পণ্য রফতানির দিকে নজর দিচ্ছি। তার জন্য প্রথমেই দরকার ফসল ক্ষেত থেকে তোলার পর তা সংরক্ষণ এবং কার্গোতে তুলে দেওয়া। তার জন্য কার্গো ভিলেজ করতে হবে। যেখানে বিভিন্ন চেম্বার থাকবে। কোন ফসল-কোন তরকারিটা হবে, কোনটা কত ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভালো থাকে—এগুলোর কিন্তু আন্তর্জাতিক গবেষণার ফলাফল আছে। আর আমি নিজে নেদারল্যান্ডসে দেখেছি, আমাদের দেশেও এটা করবো। ক্ষেত থেকে কার্গোতে নিয়ে আসার জন্য সেই ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। এখন আমরা কার্গো ভাড়া করে বিদেশে পাঠাই, কিন্তু আমাদের নিজস্ব কয়েকটা কার্গো দরকার।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টমেটোর জন্য আলাদা চেম্বার, অন্যান্য সবজির জন্য আলাদা চেম্বার করতে হবে। আমাদের যে অঞ্চলে যে ফসল ভালো হবে, ওই ফসলের প্রক্রিয়াজাত করে যদি আমরা রফতানি করতে পারি, তাহলে আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবো। আমি মনে করি, কৃষিপণ্য রফতানি করে আমরা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবো।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে আইসিটি ডিভাইস রফতানি। সেই সঙ্গে কৃষিপণ্য, খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাত করা। এভাবে একটার পর একটা করলে বাংলাদেশে আর কোনও আর্থিক সমস্যা থাকবে না।’