হাওরে স্থায়ী বাঁধ সম্ভব নয়, দুনিয়ার কেউ পারবেনা: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেছেন, হাওরের জন্য আগামী ৫-৭ দিন খুবই সংকটকাল। এই সময়ে বাঁধে বাঁধে আরও নজরদারি বাড়াতে হবে৷ কঠোর শ্রম দিয়ে যত পারা যায় দ্রুত ধান কাটতে হবে৷ এই মুহুর্তে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফসল রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। হাওরে এখন পানি কমছে৷ তার মানে আমরা একটু জায়গা পেয়েছি৷ হাওরে ইতিমধ্যেই ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। এটা প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকবে। এখন আমাদের প্রার্থনা করা আর দ্রুত কাজ করা ছাড়া কিছুই করার নেই।
শনিবার(৯ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নে হাওররক্ষা বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, হাওরে আগামীতে আমরা আবার বাঁধ দেব। কারণ এ বাঁধগুলো স্থায়ী হওয়া সম্ভব নয়। এটা দুনিয়ার কেউ পারবেনা এটা অসম্ভব। তার মানে আমরা বাঁধ দেই যাতে কিছু ফুরসত ফেলার সময় পাই, ধান ঘরে তুলতে পারি৷ এখন মাঠে মাঠে আমার ভাই বোনেরা একসাথে কাজ করছেন। এটা আবহামান কাল থেকেই চলছে। সুতরাং এটাই চলবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, কৃষিতে এখন বিশাল পরিবর্তন এসেছে। এ পরিবর্তনের হাওয়া ভালো। মেশিনের মাধ্যমে এখন ধান কেটে দ্রুত ঘরে তুলা সম্ভব হচ্ছে। যা কয়বছর আগেও সম্ভব ছিলনা। আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা সময় কমানোর চেষ্টা করছেন উদ্ভাবনী জাত। কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ হচ্ছে। সার্বিক দিক দিয়ে কৃষিতে এখন সার্বিক পরিবর্তনের হাওয়া বইছে।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ জামান, পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত রাজনৈতিক সচিব হাসনাত হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রানী তালুকদার, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জসিম উদ্দিন শরিফী, ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন, জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন, শিমুলবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান শাহিন, উপজেলা প্রকৌশলী আল নূর তারেক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সদরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদসহ আরও অনেকে।