হাত-পা কেটে ফেলার পরও বাঁচানো গেল না নওশিনকে

হাত-পা কেটে ফেলার পরও বাঁচানো গেল না নওশিনকে

হবিগঞ্জের বাহুবলে বিদ্যুতায়িত হয়ে আহত স্কুলছাত্রী নওশিন (৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নওশিন মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্কুলছাত্রীর বাবা জুয়েল মিয়া। 

স্কুলছাত্রী নওশিন বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় কর্মরত মো. জুয়েল মিয়ার মেয়ে। 

জানা গেছে, গত ২২ আগস্ট নওশিন বাসার ছাদে খেলাধুলা করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়। সঙ্গে সঙ্গেই আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে নওশিনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখান থেকে নেওয়া হয়েছিল ঢামেকের বার্ন ইনস্টিটিউটে। পরে গত শুক্রবার নওশিনের এক হাত ও এক পা কেটে ফেলেন বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকেরা। তবু নওশিনের শেষ রক্ষা হয়নি। গতকাল সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। 

এ বিষয়ে ঢামেকের বার্ন ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. বিধান সরকার বলেন, ‘শিশু নওশিনের ইলেকট্রিক বার্ন ছিল। গত বৃহস্পতিবার তার বাঁ ও হাত ডান পা কেটে ফেলা হয়েছিল। তার শ্বাসনালিতেও বার্ন ছিল। প্রথম থেকেই সে শকে ছিল। গতকাল দুপুরে তার অবস্থা হঠাৎ খারাপ হয়ে যায়। আইসিইউ সাপোর্টের জন্য শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে শিশুটি মারা যায়।