হবিগঞ্জ-২ : বানিয়াচংয়ে নির্বাচনী আমেজ, প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বানিয়াচং উপজেলা জুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। প্রতীক বরাদ্দের পরই আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারণায় প্রার্থীরা।
১৮ ডিসেম্বরের পর থেকে বানিয়াচং উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পোস্টার, ব্যানার, গণসংযোগ, মিছিল, লিফলেট বিতরণ, আলোচনা ও মতবিনিময় সভাসহ নানা কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেছে প্রার্থীদের। বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন তারা। তুলে ধরছেন নির্বাচনী এলাকা নিয়ে নিজেদের নানা পরিকল্পনাও। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় বানিয়াচং উপজেলায় চায়ের আড্ডা থেকে শুরু করে সর্বত্র চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিজের মনোনীত প্রার্থীকে খুঁজে নিচ্ছেন ভোটাররা। নির্বাচনকে সামনে রেখে জমে উঠেছে মাঠে ভোটের আমেজ।
এবারের নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী না থাকলেও মাঠে রয়েছে আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্রসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীরা। প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাও।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জকে আওয়ামী লীগের দূর্গ বলা হয়ে থাকে। স্বাধীনতার পর থেকেই জাতীয়সহ স্থানীয় সরকারের প্রায় সবকটি নির্বাচনে এখানে আওয়ামী লীগের জয়জয়কার। স্থানীয়দের মধ্যে প্রবাদ রয়েছে- বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ভোটাররা প্রার্থী নয়, প্রতীকের ভালোবাসায় ভোট প্রদান করে থাকেন। এই উপজেলার সাধারণ মানুষ মনে করেন এই আসনে তুমুল লড়াই হবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল (নৌকা) এবং বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান (ঈগল) এর সাথে।
অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল এর পিতা মরহুম অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন আহমেদ এই আসনের দুইবারের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। যিনি শিক্ষকতা পেশা থেকে সংসদ ভবন পর্যন্ত এক পোশাকে আসা-যাওয়া করতেন, আইনি পেশায় মামলা পরিচালনা করতে নিজে খরচ না নিয়ে মক্কেলদেরকে বাসায় যাওয়ার জন্য উল্টো ভাড়া প্রদান করতেন। তার সেই জনপ্রিয়তার বড় ভূমিকা থাকবে নৌকার ভোটে।
আবার দলের বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এই আসনের টানা তিনবার নির্বাচিত। অবহেলিত বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জের স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, চিকিৎসা, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তিনি। তাই তার নিজস্ব ভোটব্যাংকও বিশাল।
এই দুজনের বাইরে তবে বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মেঃ জিয়াউর রশিদ (ডাব) কিছুটা প্রচার-প্রচারণায় থাকলেও জাতীয় পার্টির শংকর পাল (লাঙ্গল) ও অন্য কোন প্রার্থীদের ভোটের মাঠে তেমন কোন প্রচার -প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে না।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩’শ ৩৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ১’শ ৪৬ জন এবং নারী ভোটার ১ লক্ষ ৮২ হাজার ১’শ ৮৮ জন। ১’শ ৫০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১’শ ৬টি বানিয়াচং বাকি ৪৪টি আজমিরীগঞ্জ উপজেলায়। মোট ভোটকক্ষ থাকবে ৭’শ ৯৮টি