দুই বছর পর ট্রাম্প বললেন ‘আই এম ব্যাক’

দুই বছর পর ট্রাম্প বললেন ‘আই এম ব্যাক’

ফেসবুক, টুইটারসহ একাধিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এরপর গত বছর কোম্পানিগুলো তার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। কিন্তু এরপরেও নিজের তৈরি সোশ্যাল মিডিয়া ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ নিয়েই ছিলেন ট্রাম্প। তিনি আদৌ টুইটার বা ফেসবুকে ফিরবেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছিল সমর্থকদের মধ্যে। অবশেষে শুক্রবার ফেসবুকে দুই বছরেরও বেশি সময় পর পোস্ট করলেন ট্রাম্প। একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি বলেন, ‘আই এম ব্যাক’ অর্থাৎ, আমি ফিরে এসেছি। 

ফেসবুকে ট্রাম্পের এই ফিরে আসা বেশ কিছু কারণে গুরুত্বপূর্ণ। সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাই নিজের পক্ষে প্রচারণা শুরু করতে সমর্থকদের সঙ্গে বেশি বেশি যুক্ত হতে চাইছেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান নেতারা বহুদিন ধরেই ট্রাম্পের ফেসবুক ও টুইটারে ফিরে আসার কথা বলছিলেন। অবশেষে ট্রাম্প স্তব্ধতা ভেঙে ফেসবুকের মঞ্চে হাজির হলেন।

পাশাপাশি চালু করেছেন তার ইউটিউব একাউন্টও। সেটিও নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছিল। ফেসবুকে যে ভিডিও তিনি আপলোড করেছেন, তা ইউটিউবেও পোস্ট করেছেন তিনি। 
ফেসবুকে ট্রাম্পের ৩৪ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে। আর ইউটিউবে আছে ২.৬ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার। নিজের ফিরে আসার ঘোষণা দিয়ে সমর্থক ও অনুসারীদের উদ্দেশে ফেসবুক ও ইউটিউবে ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেন ট্রাম্প। ২০২১ সালের জানুয়ারির পর এটাই ট্রাম্পের প্রথম পোস্ট। রিপাবলিকান দলের নেতা ট্রাম্পের বয়স এখন ৭৬ বছর। এই বয়সেও তিনি ২০২৪ সালের পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আরও বেশি বয়স্ক অবস্থায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেছেন এবং তিনি ২০২৪ সালের নির্বাচনও করতে চান। 

প্রেসিডেন্ট থাকাকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন ট্রাম্প। তার দাবি, তাকে নিষিদ্ধ করে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শিকার হয়েছে সামাজিক মাধ্যমগুলো। ২০২১ সালের ৬ই জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালান এক দল মার্কিনি। সেই হামলার দায় গিয়ে পড়ে ট্রাম্পের ওপরে। অভিযোগ ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের পোস্টের কারণেই এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক আছে। নিষিদ্ধ হওয়ার আগে তার সর্বশেষ দাঙ্গাকারীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে পোস্ট করেছিলেন ট্রাম্প। তার সমর্থকরা দাবি করেন, ট্রাম্পের সঙ্গে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো।