লোকসভা নির্বাচন: ষষ্ঠ দফায়ও ভোটার কম, সহিংসতা বেশি
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে বিচ্ছিন্ন সহিংসতা, ধরপাকড়, বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে। শনিবার এ ভোটে আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কংগ্রেসের তরুণ নেতা কানহাইয়া কুমার, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিনেতা দেব, বিজেপি প্রার্থী মানেকা গান্ধী, জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে ভোটের আগের রাতে খুন হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা। দিল্লিতে এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ষষ্ঠ দফায় ভারতের আট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত দুই অঞ্চলের ৫৮ আসনে ভোট গ্রহণ হয়। ভোটের হার ছিল বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৫৭ দশমিক ০৭ শতাংশ। কলকাতা প্রতিনিধি জানান, ষষ্ঠ দফায় পশ্চিমবঙ্গে তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর আসনে ভোট হয়েছে। শুক্রবার রাতে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল নেতা শেখ মইবুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তমলুক আসনের মহিষাদলে এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি এ হত্যার সঙ্গে জড়িত।
ভোটের সকালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে কেশপুরে। সেখানে ঘাটাল আসনের বিজেপি প্রার্থী অভিনেতা হিরণ চ্যাটার্জির গাড়ির সামনে বিক্ষোভ করে তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূলের লোগো বুকে লাগিয়ে বুথে বুথে ঘুরে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানায় বিজেপি। ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুর ওপর ফুলকুশমা এলাকায় হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম খারাপ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আবার কোথাও ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, বুথে আসতে বাধা দেওয়াসহ বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনার খবরও পাওয়া গেছে।
দিল্লিতে এবার আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেস জোটবেঁধে ভোটে লড়ছে। উত্তর-পশ্চিম দিল্লি আসনের কংগ্রেস প্রার্থী উদিত রাজের অভিযোগ, দিল্লির কয়েকটি কেন্দ্রে ইন্ডিয়া জোটের পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তিনি জানান, তারা বিষয়টি সকাল সাড়ে ৭টার দিকেই কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। কয়েক ঘণ্টা পার হলেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। উদিত রাজের আসনের জাহাঙ্গীরপুরি, মঙ্গলপুরি ও ভালস্বয়া ডেইরি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কাশ্মীরের অনন্তনাগের বিজবেহারা পুলিশ স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেছেন রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁর অভিযোগ, পিডিপির পোলিং এজেন্টদের লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে; আটক করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ধরপাকড়ের কারণ জানতে চেয়েছি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি।’ দ্য হিন্দু অনলাইন জানায়, মেহবুবা মুফতির মেয়ে ইলতিজা মুফতি ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন।