ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সরকারী হস্তক্ষেপ মেনে নেয়া যায় না: উলামা পরিষদ

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সরকারী হস্তক্ষেপ মেনে নেয়া যায় না: উলামা পরিষদ

উলামা পরিষদ বাংলাদেশের নামে একটি ধর্মীয় সংগঠন বলছে- ‌‌‘বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশ পৃথিবীর গুড়া-পত্তন থেকে প্রত্যেক জাতি স্বীয় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ স্বাধীনতায় প্রতিষ্ঠা করে আসছে। কিন্ত বড়ই পরিতাপের বিষয় হলো ইদানিং বাংলাদেশ সরকার একটি ন্যাক্কারজনক আইন পাশ করেতে যাচ্ছে যে মাদরাসা, মসজিদ এমনকি কবরস্থান পর্যন্ত প্রতিষ্ঠা করতে সরকারের অনুমতি নিতে হবে, যা মুসলিম জাতির তাহজীব-তামাদ্দুন ও ইবাদত বন্দেগীতে কঠোর হস্তে বাধার নামান্তর। বাংলাদেশের তাওহীদী জনতা তা কোন অবস্থাতেই মেনে নিবে না। বরং এমন আইনের কারণে দেশে অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করবে। এমনকি গৃহ যুদ্ধের রূপ নেওয়া অসম্ভব নয়। যার দায়বদ্ধতা একমাত্র সরকারের উপরই বর্তাবে। সুতরাং দেশের ধর্মপ্রাণ জনতার পক্ষ থেকে উলামা পরিষদ বাংলাদেশ এ ন্যাক্কাজনক আইনের প্রতি তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে তা প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে। সাথে সাথে নিরিহ কারাবন্দী সকল উলামায়ে কেরাম কে অবিলম্বে মুক্তি দান, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড সে হিসেবে কওমী মাদরাসা সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনতিবিলম্বে খোলে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে।’

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সিলেট নগরের দরগাহ মাদ্রাসায় উলামা পরিষদ বাংলাদেশের এক কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপরোক্ত বিষয়ে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন উলামা পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা মুফতী মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি, সহ সভাপতি মাওলানা মোজাম্মিল হোসাইন চৌধুরী, মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মাওলানা মোস্তাক আহমদ খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহিবুর রহমান মিঠিপুরী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ আল আজাদ, অর্থ সম্পাদক মাওলানা মুহি উদ্দিন, সহ অর্থ সম্পাদক মাওলানা নিয়ামত উল্লাহ খাসদবিরি, মাওলানা মাহমুদ হাসান, মাওলানা মুহিবুর রহমান মুক্তিরচক, মাওলানা আব্দুল মতিন নবীগঞ্জী, মাওলানা মুফতি রশীদ আহমদ ইক্বরা, হাফিজ আহমদ ছগির, মাওলানা শামসুল ইসলাম, মুফতি রশীদ আহমদ জকিগঞ্জী প্রমুখ।