বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একদিনে আরও তিন মামলা
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এসএম নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে সরকারি গভীর নলকূপ বরাদ্দের নামে লাখ টাকা আত্মাতের অভিযোগ এনে আরও তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সিলেটের সিনিয়র জুডিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট প্রথম আদালতে পৃথক এই তিনটি মামলা দায়ের করেন উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের তিন ভূক্তভোগী। মামলা তিনটিরই শুনানি হয় সিনিয়র জুডিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩য় আদালতে। শুনানি শেষে ওই আদালতের বিচারক দিলরুবা ইয়াছমিন অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের জন্যে সিলেটের গোয়েন্দা (সিআইডি) পুলিশকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন। একই সঙ্গে আগামি ২৩ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
মামলা তিনটিতেই উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া ও তার পিএস বিশ্বনাথ পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য দবির মিয়াকে আসামি করা হয়েছে। আর তিন মামলাতেই দবির মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত দবির পৌরসভার মিয়াজানেরগাঁও গ্রামের মৃত সাজিদ মিয়ার ছেলে। এনিয়ে টাকা আত্মসাতের ৫টি ও সাইবার ট্রাইব্যুনালের একটিসহ মোট ৬টি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া।
মামলার বাদী তিনজনের একজন হলেন, দিঘলী (দত্তপুর) গ্রামের রইছ উদ্দিন (৫৫)। ফশফন তার দায়ের করা (‘বিশ্বনাথ সিআর ৩৪৬/২০২৩) মামলায় অভিযোগ করেছেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়া ও তার পিএস দবির মিয়ার সঙ্গে কথা বলে চলতি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দবির মিয়ার নিকট গভীর নলকূপের জন্য ৪০হাজার টাকা জমা দেন। টাকা না পেয়ে গত ৬ আগষ্ট বিকেলে উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ে গিয়ে চেয়রাম্যান নুনু মিয়ার নিকট টাকা চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। সর্বশেষ গত ১ সেপ্টেম্বর দবিরের বাড়িতে গেলে দবিরী টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
একই অভিযোগ অপর দুই মামলার বাদীদেরও। উপজেলার বশিরপুর (উত্তর সিরাজপুর) গ্রামের জমির আলী (৪০) তার (‘বিশ্বনাথ সিআর ৩৪৫/২০২৩’) মামলায় উল্লেখ করেছেন, ২০২২সালে প্রতিবন্ধি বাচ্চার নামে একটি গভীর নলকূপের জন্য তিনিও ৩০ হাজার টাকা দবিরের নিকট দিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি যোগাযোগ করা হলে দবির টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
আর একানিধা গ্রামের মোতাওয়াল্লী মো. আব্দুল্লাহ (৫০) তার দায়ের করা (‘বিশ্বনাথ সিআর ৩৪৪/২০২৩) মামলায় উল্লেখ করেছেন, গ্রামের মসজিদে একটি গভীর নলকূপের জন্য ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনিও দবির মিয়ার নিকট ৩০হাজার টাকা জমা দিয়েছেন। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার নিকট গেলে তারা টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তবে, এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া। তিনি বলেন, সুবিধা না পেয়ে একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা মামলা দায়ের করাচ্ছে।
মামলার সত্যতা জানিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজ বলেন, মামলা তিনটি তদন্তের জন্য সিআইডি-কে দায়িত্ব প্রদান করেছেন বিচারক মো. আলমগীর হোসেন।