১৫ বছরে এমপি মজিদ খানের সম্পদ বেড়েছে ৬০ গুণ

১৫ বছরে এমপি মজিদ খানের সম্পদ বেড়েছে ৬০ গুণ

হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মজিদ খান। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও টানা তিনবারের সংসদ সদস্য। ২০০৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তার আয়-সম্পদ ছিল নগণ্য। মাথায় ছিল ঋণের বোঝা। তখন স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৫ টাকা।

তবে গত ১৫ বছরে বদলে গেছে তার সম্পদের হিসাব-নিকাশ। তার সম্পদ ফুলেফেঁপে এখন ৬০ গুণের বেশি। নগদ টাকাসহ ৪ কোটি ১৭ লাখ ৬৮ হাজার ৫৩৯ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মজিদ খানের দাখিল করা হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

হলফনামার তথ্যমতে, বর্তমানে মজিদ খানের নগদ টাকার পরিমাণ ২ কোটি ৭১ লাখ ৩৫ হাজার ৫১১ টাকা। বার্ষিক আয় ২০ লাখ ৪ হাজার ৮৬০ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে পান ৪৫ হাজার ৪০০ টাকা; বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া থেকে পান ৪ লাখ ৭ হাজার ৬১০ টাকা। সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত ৫২ হাজার ২৫০ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ৩০ লাখ ২২ হাজার ৩৭৪ টাকা, যানবাহন ও অস্থাবর সম্পদের মূল্য ৯২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে রয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণ।

হলফনামায় আরও কিছু অস্থাবর সম্পদের কথা উল্লেখ করেছেন। স্থাবর সম্পদের তালিকায় রয়েছে কৃষিজমি ৩০০ একর। মজিদ খান চতুর্থবারের মতো হবিগঞ্জ-১ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।