সিলেট জেলার ৬টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী যারা
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।রাজধানী বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দল মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
সিলেট বিভাগের ১৯ আসনের মধ্যে সিলেট জেলায় রয়েছে ৬টি সংসদীয় আসন। তন্মধ্যে দুইটি আসনের প্রার্থী বদল হয়েছে।সিলেট-২ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেওয়া মোকাব্বির খান বর্তমান সংসদ সদস্য। এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীকে।
সিলেট-৫ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার বয়সের কারণে এবার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। এই আসনে নতুন মুখ এসেছে আওয়ামী লীগে। মনোনয়ন পেয়েছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ।
এছাড়া অন্য চারটি আসনে আগের প্রার্থীতেই ভরসা রেখেছে আওয়ামী লীগের। জেলার অপর চারটি আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সিলেট-১ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট-৩ আসনে হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট-৪ আসনে কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ ও সিলেট-৬ আসনে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বিভাগের অপর আসনগুলোতে মনোনয়ন পেয়েছেন:
মৌলভীবাজার-১ আসনে শাহাব উদ্দিন, মৌলভীবাজার-২ আসনে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মৌলভীবাজার-৩ আসনে জিল্লুর রহমান, মৌলভীবাজার-৪ আসনে উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ।হবিগঞ্জ-১ আসনে অ্যাডভোকেট ড. মুশফিক হোসেন, হবিগঞ্জ-২ আসনে ময়েজ উদ্দিন শরিফ রুহেল, হবিগঞ্জ-৩ আসনে আবু জাহির, হবিগঞ্জ-৪ আসনে মাহবুব আলী।
সুনামগঞ্জ-১ আসনে অ্যাডভোকেট রঞ্জিত চন্দ্র সরকার, সুনামগঞ্জ-২ চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল-আমিন চৌধুরী), সুনামগঞ্জ-৩ আসনে এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৪ ড. মুহাম্মদ সাদিক ও সুনামগঞ্জ-৫ আসনে মুহিবুর রহমান মানিক।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট বিভাগে রয়েছে ১৯টি সংসদীয় আসন। এই ১৯টি আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছিলো ১৭৩টি। এর মধ্যে কয়েকজন একাধিক আসনে মনোনয়নপত্র কিনেন।সিলেট জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ৫২ জন নেতা। এর মধ্যে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে সবচেয়ে বেশি ১৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে। ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।