আনোয়ারুজ্জামানকে নগরবাসীর সমস্যা সমাধানে কাজ শুরুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

আনোয়ারুজ্জামানকে নগরবাসীর সমস্যা সমাধানে কাজ শুরুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেযর আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। রোববার (২৫জুন) দুপুর ১২ টায় তিনি সস্ত্রীক গণভবনে পৌঁছান এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে সিলেটবাসীর ভালোবাসার মর্যাদা দিতে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের জন্য পরিকল্পনা ও কাজ শুরুর পরামর্শ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিলেটবাসীর সঙ্গে আমার একটা আত্মীক সম্পর্ক আছে। তারা যেমন জাতির জনককে ভালোবাসেন শ্রদ্ধা করেন, তেমনি আমাকেও ভালোবাসেন। ভালোবাসেন নৌকা। তাদের ভালোবাসার প্রতিদান দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। মেয়র বা নগর পিতা নয়, কাজ করতে হবে তাদের সেবক হিসাবে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার উন্নয়নে সরকারের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

সাক্ষাতকালে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে সিলেটবাসীর সালাম জানিয়ে বলেছেন, আপনি আমার উপর আস্তা রেখে সিলেট নগরবাসীর সেবক হতে নৌকার মনোনয়ন দিয়ে পাঠিয়েছিলেন। সিলেটবাসী আপনার জন্য, কেবলমাত্র আপনাকে, আওয়ামী লীগকে এবং নৌকাকে ভালোবাসেন বলেই আমাকে ভোট দিয়ে বিশাল ব্যবধানে জয়ী করেছেন। তারা আপনার জন্য সবসময় দোয়া করেন এবং সিলেটের উন্নয়ন জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চেয়েছেন।

সাক্ষাতকালে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সাথে ছিলেন সহধর্মনী হলি চৌধুরী ও তার দুই ছেলে রুহানুজ্জামান চৌধুরী ও রুম্মানুজ্জামান চৌধুরী।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর রাজনীতি শুরু ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসাবে। এরপর তিনি এক যুগেরও বেশী সময় ধরে যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তারপর শুরু করেন আওয়ামী লীগের রাজনীতি। তিনি বর্তমানে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

সিলেট সিটি করপোরেশনের  ২০১৩ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের পর এই নগরীর মেয়রের আসনটি পুনরুদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকেই নৌকার প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করেন। এরপর দীর্ঘ প্রচারণা শেষে গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলকে প্রায় ৬৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।

নির্বাচনে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নৌকায় ভোট পড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯১ ভোট। এর বিপরীতে নজরুল ইসলামের বাবুল নৌকায় ভোট পান ৫০ হাজার ৮৬২টি ভোট। দু’জনের ভোটের ব্যবধান দ্বিগুণেরও বেশী।

সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪২ ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮১১। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৫৯টি। তবে বৈধ ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ২৬ হাজার ৬৪৩টি, শতকরা হার ৪৬ দশমিক ৭১।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সিলেটের একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেন এবং আওয়ামী লীগকেই এ বিশাল জয় উৎসর্গ করেন।

সেদিন তিনি বলেছিলেন, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের কারণেই এ জয়।