ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে সিলেটে বর্ণাঢ্য র‌্যালি

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে সিলেটে বর্ণাঢ্য র‌্যালি

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সিলেটে  বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করেছে। 

‘মুবারক র‌্যালি’ নামে এই র‌্যালিতে বুধবার হাজার হাজার ছাত্র-জনতা অংশ নেয়। বিকেলে নগরীর সোবহানীঘাট এলাকার শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসা থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করে। প্রিয়নবীর শানে রচিত কালজয়ী নানা কবিতার শ্লোক অঙ্কিত নানা রঙের ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড র‌্যালিতে শোভাবর্ধন করে। ছাত্রজনতার সুরে সুরে ধ্বনিত হয় প্রিয়নবীর প্রশংসাগীতি। র‌্যালিতে বালাগাল উলা-বি কামালিহি... শামছুদ্দুহা আসসালাম... এরকম নাতে রাসুল পরিবেশন করা হয়। 

র‌্যালি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আতিকুর রহমান সাকেরের পরিচালনায় র‌্যালিপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র সভাপতি মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহবুবুর রহমান ফরহাদ, র‌্যালি বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

এ সময় নেতারা বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) জগতের রহমতের উৎস। তাঁর আগমনে পৃথিবী অন্ধকার থেকে আলোর পথ পেয়েছিল। তিনি দুনিয়া ও আখিরাতের সরদার। তিনি শুধুমাত্র নবুওয়াত লাভের পরে নয়। বাল্যকাল থেকেই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন। পৃথিবীর এমন কোনো লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, মজলুম ব্যক্তি নেই, যার স্থান তাঁর কাছে ছিলোনা। তিনি ছিলেন মজলুমদের আশ্রয়স্থল। 

র‌্যালিতে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আনজুমানে আল ইসলাহর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম মনোওর আলী, ভারতের উজানডিহির সৈয়দ শামীম আহমদ আল মাদানী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাওলানা আব্দুর রকিব, আল ইসলাহর সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল মুনঈম মনজলালী, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, মাওলানা মাহমুদ হাসান চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শেহাব উদ্দিন আলীপুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা নজমুল হুদা খান, অর্থ সম্পাদক মাওলানা গুফরান আহমদ চৌধুরী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আবু ছালেহ মো. কুতবুল আলম ও শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ফারুকী প্রমুখ।