কুশিয়ারার চরে বাদাম চাষ , ভালো ফলনের প্রত্যাশা
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী এলাকায় চাষাবাদে ধান, ভুট্রা, শয্য সবজি চাষের সাথে এবার যুক্ত হয়েছে লাভজনক ফসল চীনা বাদাম। উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের হরিণাকান্দি এলাকার কৃষকরা ভালো ফলনের প্রত্যাশা করে বাদাম চাষাবাদ করেছেন। উপজেলায় শত শত হেক্টর অনাবাদি জমি রয়েছে, এসব অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে বাদাম চাষাবাদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
এলাকার কৃষকরা বিভিন্ন প্রকার সুযোগ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে ধানের পাশাপাশি লাভজনক ফসল ভুট্টা, তিল, তিসি, সরিষা ও বাদাম চাষাবাদ করছেন। চলতি বছর হরিনাকান্দি এলাকার একাধিক কৃষক মিলিত হয়ে ৫০ বিঘার চেয়ে বেশি অনাবাদি জমিতে এসব বাদাম চাষ করেন।
বাদাম চাষ ভালো হওয়ায় হরিণাকান্দি গ্রামের কৃষক সঞ্চিত দাস বলেন, কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবেশ করে আমাদের
অনেক জমি পলি মাটিতে ভরাট হয়ে অনাবাদি জমিতে পরিনত হয়েছে, কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রথম বারের মতো এলাকার কয়েকজন কৃষক মিলে বারি-৮ জাতের বাদাম চাষাবাদ করেছি, আমরা আশাবাদী প্রত্যাশিত ভালো ফলন হবে।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দাস বলেন, আমার দায়িত্বে থাকা এলাকায় অনেক অনাবাদি জমি রয়েছে, সে-সব জমি কৃষির আওতায় আনতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছি। মাঠ পর্যায় গিয়ে কৃষকদের রোপণ উপযোগী জমি গুলোতে চীনা বাদাম চাষাবাদের পরামর্শ দেই। কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে কৃষকদের প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, চাষাবাদের জমি গুলো সরজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কাওসার আহমেদ বলেন, এলাকায় অনেক সচেতন কৃষক রয়েছেন, কৃষি অফিস এসকল কৃষকদের পাশে রয়েছে।
উপজেলার কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী চর এলাকার কৃষিতে অপার সম্ভবনা রয়েছে এবং পর্যায় ক্রমে সকল অনাবাদি জমি কৃষির আওতায় আনতে উপজেলা কৃষি অফিস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ধান, গম, ভুট্টা, মিষ্টি আলু, মিষ্টি কুমড়া, তরমুজ, সরিষা, বাদাম সহ মৌসুমি সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে মাঠ পর্যায় গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চলমান পক্রিয়া অব্যাহত রেখে উপজেলার অনাবাদি পাঁচ শতাধিক হেক্টর জমি আগামী বছর গুলোতে কৃষির আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী।