সিলেট সিটির ড্রেনেজ সিস্টেম নিয়ে সমালোচনার ঝড়

সিলেট সিটির ড্রেনেজ সিস্টেম নিয়ে সমালোচনার ঝড়

সমালোচনার ঝড় বইছে অনেকদিন ধরে। বিশেষ করে গেল বন্যার পর থেকে সিলেটের গণ্ডি পেরিয়ে দেশের অন্যান্য সিটিতেও সিলেট সিটি করপোরেশনের ড্রেনেজ সিস্টেম নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছে।

মঙ্গলবার আবারও সেই সমালোচনার যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া গেলো। বিকেল তিনটার পর থেকে মাত্র ত্রিশ-চল্লিশ মিনিটের বৃষ্টিতেই মহানগরীর অবস্থা ডুবুডুবু।

উন্নয়ন আর সৌন্দর্যবর্ধনের নামে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বক্স ড্রেন নির্মাণকে দায়ী করছেন সচেতন মহল। তাদের মতে, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে পরিস্কার করার আধুনিক কোন ব্যবস্থা না রেখেই এসব বক্স ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। আর তাই শুধু নিম্বাঞ্চলই নয়, ইলেক্ট্রি সাপ্লাই এলাকার রাস্তায়ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

মঙ্গলবার বিকেলের বৃষ্টি থামার প্রায় ঘন্টাখানেক পরেও ওই রোডের বিভিন্ন স্থানে বন্যার মতো অবস্থা ছিল।

একই অবস্থা ছিল নগরীর ২৬নং ওয়ার্ডের স্টেশন রোড এলাকায়। এই এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পণ্যে রাখার জায়গা ছিলনা। হাঁটু সমান পানি। শোচনীয় অবস্থা ছিল নগরীর সিলেট সুনামগঞ্জ রোডের সুবিদবাজার, লন্ডনি রোড, হাওয়াপাড়া, দাড়িয়াপাড়া, সুবহানীঘাটসহ বিভিন্ন এলাকার।

সুরমা এখন বলতে গেলে পানিশূণ্য। এ অবস্থায় ড্রেনেজ সিস্টেম পরিকল্পিতভাবে করা হলে পানি দ্রুত নদীতে নেমে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা হচ্ছেনা। বরং মহাদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বিশেষ করে বস্তি এলাকায়তো একটুতেই পানি প্রবেশ করে বসোবাসের পরিবেশটাই নষ্ট করে দিচ্ছে। 

এসব কারণে যথারীতি সমালোচনার কেন্দ্রে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। জলাবদ্ধতা দূর করার নামে কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও ফলাফল নেতিবাচক হওয়ায় মেয়র হিসাবে দায়ভার তার কাঁধেই বর্তায়।

লন্ডনি রোড এলাকার আব্দুল কাদের আক্ষেপ করে বলেন, কিসের উন্নয়ন? শুধু লুটপাট হয়েছে বা হচ্ছে। আর তাই এই সামান্য বৃষ্টিতেই জীবন অতিষ্ঠ।

সাপ্লাই রোডের পানির মধ্যে কোনমতে হাঁটতে হাঁটতে এক পথচারীর মন্তব্য- অউ অইলো আরিফিয় উন্নয়ন।

তবে জনগনের এমন দুর্ভোগে সিসিক’র বড় কর্তারা নির্বিকার। তারা কেবল আশ্বাস দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছেন।

যেমন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী  নূর আজিজুর রহমান। অল্প বৃষ্টিতে এমন দুর্ভোগের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, উন্নয়ন কাজ চলছে। পরিকল্পিত উন্নয়ন। তা এখনো শেষ হয়নি। হলে এই দুর্ভোগ থাকবেনা।

অবশ্য এই শেষটা কবে হতে পারে- তার আর বলতে পারেন নি তিনি।