ত্রাণ চাওয়ায় অপমান করলেন চেয়ারম্যান!
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ত্রান চাওয়ায় অপমান করার অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মধ্যনগর ইউপির চেয়ারম্যান সঞ্জীব রঞ্জন তালুকদার।
বুধবার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার মধ্যনগর ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলায় সাইলানী গ্রামের সজীব মিয়া (১৬) নামের এক কিশোরকে মারধর ও তার বৃদ্ধ বাবা মাছ ব্যবসায়ী মনজুরুল হককে (৬০) অপমান করার বিষয়টি ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
কিশোর সজীবের বাবা মনজুরুল হক অভিযোগ করেন, মধ্যনগর বাজারের দক্ষিণ পাশের ট্রলার ঘাটে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মধ্যনগর ইউপির চেয়ারম্যান সঞ্জীব রঞ্জন তালুকদার ইউপি সদস্যদের নিয়ে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছিলেন। বন্যার পানিতে তাঁদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁর ছেলে সজীব মিয়া অন্য বন্যার্ত মানুষের সঙ্গে ত্রাণ আনতে যায়। চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ করে কয়েকবার সে ত্রাণ সহায়তা চাইলে চেয়ারম্যান বিরক্ত হন। পরে সজীবকে ইউনিয়ন পরিষদে যেতে বলা হয়। সেখানে গেলে পরিষদের একটি কক্ষে তাকে চড়, লাথি ও কিল–ঘুষি মারেন চেয়ারম্যান। খবর পেয়ে তিনি সেখানে গেলে চেয়ারম্যান তাঁকেও (মনজুরুলকে) নানা কটু কথা বলে অপমান করেন। একপর্যায়ে ছেলেকে সেখান থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তিনি কলমাকান্দা হাসাপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় বিচার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন মনজুরুল হক।
অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান সঞ্জীব রঞ্জন তালুকদার বলেন, ‘ছেলেটি নেশাগ্রস্ত। তার কাছে ত্রাণসামগ্রী পাওয়ার কোনো টোকেন ছিল না। তাই তাকে ত্রাণসামগ্রী না দেওয়ায় সে আমাকে ও ইউপি সদস্যকে চোর–বাটপারসহ অশ্লীল ভাষায় মানুষের সামনে গালাগালি করেছে। আমি ছেলেটিকে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে আমার নিজম্ব অর্থায়নে কেনা ত্রাণসামগ্রী নিতে বলি। কিন্তু সে তা না করে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। খবর পেয়ে সেখানে এসে ছেলেকে মারধর করেছেন মনজুরুল। এমনকি ছেলের হয়ে আমাদের কাছে তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। এখন একটি অসাধু মহল আমাকে হয়রানি করাসহ নানাভাবে ক্ষতি করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছেলের বাবাকে দিয়ে একটি মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে। আমি ছেলেটিকে মারধর করিনি। তা স্থানীয় মানুষজনকে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন।’
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো.জাহিদুল হক বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।