'প্রধানবিচারপতির নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছেন তারা নির্বোধ'
বিশেষ প্রতিনিধি ||
সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি হিসেবে ওবায়দুর হাসানকে নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে বিরোধী শিবির থেকে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে। ‘রাষ্ট্রপতি নেই দেশে, সেসময় কেনো নিয়োগ’, ‘বর্তমান প্রধান বিচারপতি থাকতেই নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ’ এধরনের তথ্যে ফেসবুকে ‘অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া উল্লেখ করা হচ্ছে। সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ও আইনজ্ঞরা বলছেন, যারা আইন জানে না তাদের মুখে আইনের ব্যাখ্যা শুনলে তা ক্ষতিকর। এবং যারা সংবিধান কাঁটাছেড়া করেছে তারা কোন কাজ সাংবিধানিক বা সাংবিধানিক না, সেটা কেউ শুনবে না।
এর আগে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে। বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বিদায়ী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর স্থলাভিষিক্ত হবেন। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৫ সেপ্টেম্বর।
প্র্রজ্ঞাপনের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি ও তার সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নানা কর্মীদের স্ট্যাটাসে বলা হয় - প্রধান বিচারপতির নিয়োগ নিয়ে অবৈধ অসাংবিধানিক কর্মকান্ড হচ্ছে। প্রথমত, রাষ্ট্রপতি দেশে নাই। ওনার অনুপস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের মত সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রক্রিয়াটি বৈধ নয়।
এধরনের বিভ্রান্তিকর খবর প্রসঙ্গে সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, প্রধানবিচারপতি নিয়োগের একান্ত ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির। এরজন্য তার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও পরামর্শের দরকার পড়ে না। ফলে উনি দেশে আছে না নেই সেটি কোন ইস্যু হতে পারে না। কেউ যদি ন্যুনতম আইন জেনে থাকে তাহলে এধরনের বক্তব্য প্রচার করতো না। তবে শপথ যেদি হবে সেইদিন রাষ্ট্রপতিকে অবশ্যই থাকতে হবে। কারো যদি আইনে ও সংবিধানে জ্ঞান থাকে তবে এধরনের অবান্তর অবিশ্বাস্য কথা বলতে পারার কথা না। আমরা দেখছি বিএনপি সবসময়ই এধরনের বক্তব্য প্রচার করে নমনে বিভ্রান্তি তৈরী করে।