ফেসবুক-ইউটিউব থেকে তারেক রহমানের সব বক্তব্য সরানোর নির্দেশ

ফেসবুক-ইউটিউব থেকে তারেক রহমানের সব বক্তব্য সরানোর নির্দেশ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেওয়া সব বক্তব্য ফেসবুক-ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের প্রতি (বিটিআরসি) এ নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৮ আগস্ট) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিকে হাইকোর্টের এই বেঞ্চের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অনাস্থা জানিয়েছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

গত ২২ আগস্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানির জন্য ২৩ আগস্ট দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।

এরপর, গত ২৩ আগস্ট গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুলে পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করেন আইনজীবী আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া। তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি।

পরে ২৪ আগস্ট তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত রুলে পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন খারিজ করেন বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল ইসলাম। আইনজীবী সানজিদা খানম, নাসরিন সিদ্দিকা লিনা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

সম্প্রতি তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধে ২০১৫ সালে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানির জন্য রিটকারী আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা আদালতে আবেদন করেন।

এরপর গত ৩ আগস্ট তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে জারি করা রুল শুনবেন বলেছিলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন।

এ কারণে রুল প্রস্তুত হওয়ার পর আবেদনকারীকে আসতে বলেছিলন হাইকোর্ট। এরপর রুল প্রস্তুত হওয়ার পর রিটকারী আইনজীবী আবার আবেদন করেন। পরে ওই রুলে পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করেন আইনজীবী আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া। আজ সেই আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকা অবস্থায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য বা বিবৃতি সব ধরনের গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করেছিলেন আদালত। রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে তথ্য সচিবের প্রতি কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ অর্ন্তর্বতীকালীন এ আদেশ দিয়েছিলেন।

পাশাপাশি তারেক রহমানের বিদেশের অবস্থা সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার পাসপোর্টের মেয়াদের বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর দীর্ঘ দিন পর সম্প্রতি তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে ওই রুল শুনানির উদ্যোগ নেয় রিটকারী আইনজীবী।