বানিয়াচংয়ে চেয়ারম্যানকে চড়-থাপ্পড় মারলেন নারী সদস্য
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় কটূক্তি করায় মন্দরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শেখ সামছুল হককে একই ইউপির সংরক্ষিত নারী সদস্য ফাহিমা আক্তার চড়-থাপ্পড় মেরেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের (ইউএনও) সামনে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মন্দরী এলাকার একটি সেচ প্রকল্প নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সামছুল হকের সঙ্গে একই ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য ফাহিমা আক্তারের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে ফাহিমা আক্তার ইউএনওর কাছে অভিযোগ করেন। বিষয়টি মীমাংসার জন্য ইউএনও পদ্মাসন সিংহ গতকাল বুধবার বিকেলে উভয় পক্ষকে ডেকে নেন তার কার্যালয়ে। সেখানে বৈঠক শেষে বের হওয়ার সময় চেয়ারম্যান শেখ সামছুল হক ওই নারী সদস্যকে নিয়ে কটূক্তি করেন। এতে ফাহিমা আক্তার ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ারম্যানের পাঞ্জাবির কলার ধরে টানাহেঁচড়া করেন এবং চড়-থাপ্পড় মারেন। এ সময় উপস্থিত লোকজন ফাহিমাকে থামান।
এ ঘটনার পরপরই চেয়ারম্যান সামছুল হক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য ফাহিমা আক্তার বলেন, ‘গতকাল ইউএনওর অফিসে গেলে সেখানেও সবার সামনে ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে নিয়ে কটূক্তি করেন। তাই রাগ সামাল দিতে না পেরে তার গায়ে হাত তুলেছি। তিনি পালাতে চেয়েছিলেন, আমি দৌড়ে গিয়েও তার পাঞ্জাবির গলায় ধরে ফেলি।’
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সামছুল বলেন, ‘একটি সেচ প্রকল্পের বিরোধ মীমাংসা নিয়ে উপজেলা পরিষদে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে ইউএনও পদ্মাসন সিংহ বলেন, ‘আমার অফিস থেকে বের হওয়ার পরপরই ইউপি চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্যের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান আমার কাছে এসে বিচার চাইলে আমি তাকে বলেছি, যা ঘটেছে তা ফৌজদারি অপরাধ। তাকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।’
ইউপি চেয়ারম্যান ও নারী সদস্যের মধ্যে এলাকার নানা বিষয় নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে ফাহিমা আক্তার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বেশ কয়েকটি অভিযোগও করেছেন।