রায়হান হত্যা: অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে জেরা সম্পন্ন

রায়হান হত্যা: অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে জেরা সম্পন্ন

সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে রায়হান আহমদ (৩৪) হত্যা মামলায় আরও এক সাক্ষীর জেরা সম্পন্ন হয়েছে। মামলার অন্যতম সাক্ষী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহরিয়ার আল মামুনকে জেরা করেন বাদী পক্ষের আইনজীবীরা।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে মহানগর দায়রা জজ এ কিউ এম নাসির উদ্দীন আদালতে তাকে জেরা করা হয়। এ নিয়ে আলোচিত ওই মামলার ৬৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রায়হান হত্যা মামলায় বাদীপক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যরিস্টার মোহাম্মদ আবুল ফজল চৌধুরী।

২০২০ সালের ১০ অক্টোবর দিনগত রাতে সিলেট নগরের কাষ্টঘর এলাকা থেকে রায়হান আহমদকে ধরে নিয়ে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে রায়হানকে নির্যাতন করে তার হাতের আঙুলের নখ উপড়ে ফেলা হয়। পরদিন সকালে তিনি মারা যান।

পুলিশ প্রথমে রায়হানকে ছিনতাইকারী সাজিয়ে গণপিটুনিতে মারা যাওয়ার নাটক সাজায়। পরে তার পরিবার ও এলাকার লোকজন তাকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করেন।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেও তার প্রতি পুলিশের নির্মমতার বিষয়টি ফুটে ওঠে। রায়হানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন পান চিকিৎসকরা।

এ ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রী তামান্না বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয় পুলিশের নির্যাতনেই রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।

ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এসআই আকবরকে ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাটে ভারতীয় সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়।

২০২১ সালের ৫ মে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পিবিআই। অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ওইসময়ে ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়।