সাহস থাকলে নির্বাচনে আসুন: ফখরুলকে নানক

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশিল করতে বিএনপি জামায়াত তৎপর। আর তাদের অপতৎপরতার জাবাব দিতেও প্রস্তুত দেশের মানুষ। মির্জা ফখরুল প্রতিদিন নানাভাবে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু নির্বাচনের আসার সাহস দেখাতে পারছেন না।  

মির্জা ফখরুল ও বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সাহস থাকলে নির্বাচনে আসুন। বরিশাল খুলনায় জনগন যে রায় দিয়েছেন তা উপলব্ধি করুন। মানুষ আমাদের সাথেই আছেন। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বপ্ন দেখে লাভ নাই। এদেশে আর কোনদিনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে আসবে না।

বুধবার সন্ধ্যায় নগরের একটি হোটেলের মিলনায়তনে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রচার কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নানক বলেন, বরিশাল খুলনায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কেউ কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি। আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও তাই হবে। নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুুরী তার যোগ্যতা বলেই সিলেটবাসীর হৃদয় জয় করতে সক্ষম হবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। কারণ, এখনে প্রতিদ্বন্দ্বি কোন প্রার্থীই তার মতো যোগ্যতা রাখেন না। তবে এটা ভেবে বসে থাকলে চলবে না। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে একেকজন আনোয়ারুজ্জামান হয়ে প্রচারণা চালাতে হবে। এখন পর্যন্ত সিলেটের নৌকার নেতাকর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করছেন। তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। আওয়ামী বিরোধিরা ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকা ঠেকানোর চক্রান্তে লিপ্ত। তবে সিলেটবাসী তাদের পাত্তা দিবেন না।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ টি এম হাসান জেবুল এর পরিচালনায় এতে নানক আরো বলেন, সিলেটের আওয়ামী নেতাকর্মীরা তাদের যেকোন সব চক্রান্তের জবাব ব্যালটের মাধ্যমেই দিবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। বিশ্বাস করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।

নানক সিলেটের আওয়ামী নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট প্রার্থনার নির্দেশ দেন।

এতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ জেবুন্নেছা হক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, দলেরসাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, দফতর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ ডন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন