সিলেট এবার কাদামাটি আর আবর্জনার দুর্ভোগ

সিলেট এবার কাদামাটি আর আবর্জনার দুর্ভোগ

সিলেটের শাহজালাল উপশহর এলাকা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বন্যার পানির নিচে ছিল। তবে গত রোববার থেকে ওই এলাকায় পানি নামতে শুরু করে। গতকাল মঙ্গলবার পানি পুরোপুরি নেমে গেছে। তবে পানি সরে গেলেও ওই এলাকার প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে মহল্লার গলি-রাস্তাগুলোতে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া সড়কে জমে থাকা কাদামাটি পথচারীদের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বুধবার সকালে শাহজালাল উপশহর এলাকার প্রায় প্রতিটি সড়কেই এ চিত্র দেখা গেছে। 

বিশেষ করে ওই এলাকার ভেতরের বিভিন্ন ব্লকের সড়কগুলো বেহাল। সড়কের বিভিন্ন স্থানে কাদামাটিতে পথচারীদের জুতা আটকে যাচ্ছিল। পানিতে ভেসে আসা খালি বোতল, পলিথিনের ব্যাগ, পাইপ, বস্তা, গাছের ডাল সড়কের পাশেই জড়ো হয়ে থাকতে দেখা গেছে। সড়কের কোনায় জমে থাকা পানিগুলো কালো রং ধারণ করেছে। এসব পচা পানি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।

শাহজালাল উপশহর এলাকার বাসিন্দা আতাউল্লাহ বলেন, ‘কয়েক দিন বন্যায় একধরনের ভোগান্তির মধ্যে ছিলাম। এখন পানি নেমে আরেক ভোগান্তিতে পড়েছি। হেঁটে চললে শরীরে নোংরা পানি ছিটিয়ে পড়ছে। আর রিকশা কিংবা গাড়িতে চড়লে সড়কের খানাখন্দের কারণে সমস্যা হচ্ছে। আর ময়লা-আবর্জনার গন্ধ তো আছেই।’সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানিতে ভেসে আসা খালি বোতল, পলিথিনের ব্যাগ, পাইপ, বস্তা, গাছের ডাল সড়কের পাশেই জড়ো হয়ে থাকতে দেখা গেছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর বলেন, ইতিমধ্যে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নূর আজিজুর রহমান বলেন, জলাবদ্ধ এলাকাগুলো থেকে পানি নেমে গেছে। ওই সব এলাকা পরিচ্ছন্ন করতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে অভিযান শুরু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে সব কটি এলাকায় অভিযান চলবে।

জানা গেছে, আজ সকাল নয়টায় সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার চেয়ে দশমিক ৩৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার দশমিক ১৪ সেন্টিমিটার ওপরে আছে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।

এদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি সকাল নয়টায় অমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক শূন্য ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪ সেন্টিমিটার। নদীর শেওলা পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৩ দশমিক শূন্য ৫ সেন্টিমিটার। শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। এ ছাড়া সারি নদের পানি সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার।