সিলেটে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু

সিলেটে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু

সাত ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থাকার পর সন্ধ্যা ৭টা থেকে সিলেট নগরে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হলে শুরু করেছে। রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নগরের কিছু এলাকিয় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে। তবে এখনও বেশিরভাগ এলাকা অন্ধকারে রয়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জাতীয় গ্রিডের সাথে সিলেটের কুমারগাঁও পাওয়ার গ্রিডের বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন হয়েছে। কিছু গরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়েছে। সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে এরিয়াভিত্তিক সংযোগ দেয়ার চেষ্টা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

রাত ৯টা পর্যন্ত নগরের ওসমানী মেডিকেল এলাকা, টিলাগড়, শাহী ঈদগাহ, আম্বরখানাসহ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরেছে। তবে বিভাগের বেশিরভাগ এলাকায়ই এখনও অন্ধকারে রয়েছে।

বিদ্যুতের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিড ফেইল করায় সিলেটসহ দেশের বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছ। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বেলা দুইটার দিকে এই বিপর্যয় ঘটে।

সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, জাতীয় সঞ্চালন লাইনে ত্রুটির কারনে পুরো বিভাগে বিদ্যুৎ নেই। দেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও সিলেট বিভাগই বিদ্যুৎহীন।

এই বিপর্যয়ের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি বিদ্যুতের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ‘কারণ জানার পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা পুনস্থাপনের চেষ্টা চলছে। তবে কোন সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

বিদ্যুৎবিভাগের আরেক কর্মকর্তা জানান, এতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে। কারণ, গ্রিড বিপর্যয় হলে সব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তার প্রতিটি ম্যানুয়ালি চালু করতে হয়।

এটি আবার বেশ কষ্টসাধ্য এ কারণে যে, বন্ধ কেন্দ্র চালু করতেও বিদ্যুৎ লাগে। সে জন্য দেশে চালু আছে এমন কেন্দ্র থেকে বা চালু করতে বিদ্যুৎ লাগে না, এমন কেন্দ্রে আগে উৎপাদনে নিয়ে আসতে হয়। তারপর সেখান থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে অন্য কেন্দ্র চালু করতে হয়। এভাবে প্রতিটি কেন্দ্রই আলাদা আলাদা চালু করার পর তার আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে হয়।

সিলেট বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ -৩ এর ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়েছে, আজ দুপুর ২ টা ২ মিনিটে আন্ডার ফ্রিকোয়েন্সীর কারণে ব্ল্যাক-আউট হয়েছে। এ কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ এর এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ। বিদ্যুতের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করে যাচ্ছে জাতীয় গ্রিড ও পাওয়ার প্লান্টের কর্মীরা। সবাইকে ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ জানাচ্ছি।

এর আগে বাংলাদেশে ২০১৪ সালের ১ নভেম্বর বেলা ১১টা ২৭ মিনিট ৪১ সেকেন্ডে সারাদেশ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। টানা ১২ ঘণ্টা পুরো দেশে বিদ্যুৎ ছিল না। দেশজুড়ে এই ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়  ব্ল্যাক আউট নামে পরিচিত।