সিলেটে যুবদল কি বিএনপি থেকে বড়?

সিলেটে যুবদল কি বিএনপি থেকে বড়?

সিলেটে বিএনপি থেকে কি যুবদল বড় হয়ে গেলো; এই প্রশ্ন এখন দলের ভিতরেই আলোচনা হচ্ছে। আর এই প্রশ্নটি উঠছে সম্প্রতি জেলা ও মহানগর যুবদলের কাউন্সিলে মনোনয়ন ফি পঞ্চাশ হাজার টাকা নির্ধারন করায়।

দীর্ঘ দুই দশক আগামী ১০ সেপ্টেম্বর জেলা যুবদল এবং ১১ সেপ্টেম্বর মহানগর যুবদলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে সিলেট জেলা এবং মহানগর শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক- এই শীর্ষ দুই পদে আসবে পরিবর্তন।

মনোনয়ন ফি নির্ধারণ নিয়ে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। তফলিস অনুযায়ী- আগামী ২৯ ও ৩০ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ২ হাজার টাকা প্রদান করে প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম গ্রহণ করবেন। ৩০ ও ৩১ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনারের নিকট সভাপতি পদে মনোনয়ন ফি বাবদ ৫০ হাজার টাকা ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৪০ হাজার টাকা  নগদ প্রদান করে মনোনয়নপত্র জমা করতে হবে।

সিলেট যুবদলে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন উপলক্ষে এমন ‘হাই রেট’ মনোনয়ন ফি নির্ধারণ করা নিয়ে নেতাকর্মীদের অনেকেই হতাশা প্রকাশ করে এর সমালোচনা করছেন। তারা বলছেন- টাকার জোরে যুবদলে নেতৃত্বে আসীন হতে হবে? ৫০ হাজার টাকা তো ‘হাই রেট’। এমন ফি নির্ধারণ কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। যারা ত্যাগী নেতা কিন্তু টাকার জোর কম তারা কী করবে?

ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বলছেন- কয়েক মাস আগে গত হওয়া সিলেট বিএনপির কাউন্সিলেও সভাপতি-সেক্রেটারি পদে এত টাকা মনোনয়ন ফি নেওয়া হয়নি। যুবদল কি বিএনপি থেকে বড় হয়ে গেলো?

সিলেট বিএনপির কাউন্সিলকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট আব্দুল গাফফার জানান- জেলা ও মহানগর বিএনপির সভাপতি এবং সেক্রেটারি পদে মনোনয়ন ফি ছিলো ২৫ হাজার টাকা। আর বাকি পদগুলোর জন্য ছিলো ১৫ হাজার টাকা করে।

সিলেট যুবদলের শীর্ষ তিন পদে এমন ‘হাই রেট’ মনোনয়ন ফি নির্ধারণের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জেলা জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আশিকুর রহমান আসুক বলেন- ‘এ বিষয়ে বিস্তারিত আমি বলতে পারবো না। নির্ধারণ করে আমাকে জানানো হয়েছে। মনে হচ্ছে টাকার পরিমাণটা একটু বেশি হয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক নজিবুর রহমান নজিব বলেন- ‘এই ফি আমরা জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করেছি। পরিমাণটা আসলে বেশি নয়। মনোনয়ন ফি আরও বেশি নির্ধারণের জন্য আলোচনা হয়েছিলো। তবে সার্বিক দিক বিবেচনা সভাপতি পদে ৫০, সম্পাদক পদে ৪০ ও সাংগঠনিক পদে ৩০ হাজার টাকা রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন- একটি সম্মেলনকে কেন্দ্র করে অনেক খরচের ব্যাপার আছে। তাই মনোনয়ন ফি এই পরিমাণে রাখা হয়েছে।

নজিব বলেন, ‘সিলেট বিএনপির কাউন্সিলে সভাপতি-সম্পাদক পদে এর থেকে কম মনোনয়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছিলো তার কারণ- বিএনপি বৃহৎ সংগঠন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তাদের আলাদা ফান্ড ছিলো। কিন্তু আমাদের তেমনটি নেই।’