সিলেটে শিশু সাঈদ হত্যা: পুলিশ কনস্টেবলসহ তিনজনের ফাঁসি বহাল
সিলেটে বহুল আলোচিত শিশু আবু সাঈদ অপহরণ ও হত্যা মামলায় পুলিশ কনস্টেবলসহ তিনজনের ফাঁসির সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২২ জুন) আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি করে বিচারপতি শহিদুল করিম ও বিচারপতি আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মাদ শিশির মনির।
যাদের ফাঁসি বহাল রাখা হয়েছে তারা হলেন সিলেটের বিমানবন্দর থানার বহিষ্কৃত কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব এবং র্যাবের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা।
২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ এই তিনজনকে ফাঁসির সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। সেই রায়ের ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলে আবেদন শুনানি শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করা হলো।
আদালত সূত্র জানায়, শিশু সাঈদ হত্যা মামলায় ৩৭ জন সাক্ষীর বিপরীতে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর চার্জগঠনের মাধ্যমে শিশু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।
২০১৫ সালের ১১ মার্চ নগরীর শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ (৯) অপহৃত হয়। অপহরণের তিন দিন পর ১৪ মার্চ নগরীর ঝর্ণারপাড় সোনাতলা এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের বাসার ছাদের চিলেকোটা থেকে আবু সাঈদের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর এই মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন কোতোয়ালি থানার ওসি মোশাররফ হোসেন।