কালবৈশাখী তান্ডবে সুনামগঞ্জ ঘরবাড়ি বিধ্বস্তসহ গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ লাইনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার সদর উপজেলা, জামালগঞ্জ, শান্তিগঞ্জ, জামালগঞ্জ, দিরাই, ধর্মপাশা, মধ্যনগরসহ বেশিরভাগ উপজেলা দুই দিন ধরে বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত বেশিরভাগ উপজেলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি।
সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে সুনামগঞ্জের সদর উপজেলা, শান্তিগঞ্জ, জামালগঞ্জ, দিরাই, তাহিরপুর, ধর্মপাশা,মধ্যনগরসহ বেশ কয়েকটি এলাকা দিয়ে প্রবলবেগে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এতে পল্লী বিদুৎ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লন্ডভন্ড হয়ে যায় বৈদ্যুতিক লাইন। বিভিন্ন উপজেলা ২৬ টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে পড়া জেলা ব্যাপী বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। হঠাৎ এমন তান্ডবে বিদ্যুৎ সেবা চালু করতে হিমসিমে পড়তে হয় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হওয়ায় বিদ্যুৎ সেবা স্বাভাবিক করতে সময় বেশি প্রয়োজন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ম্যানেজার সুজিত কুমার বিশ্বাস।
এদিকে, টানা ৪৮ ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। রোজার ইবাদত-বন্দেগির সময় তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজে থাকা মাছ, মাংস, সবজিসহ নষ্ট হয়েগেছে। বন্ধ হয়েগেছে মোবাইল সেবা। ২৭ রমজান কদরের রাত্রিতে বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচন্ড গরমে ইবাদত বন্দেগিতে করতে কষ্ট করতে হয় মুসল্লীদের।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা বীরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আজিম উদ্দিন বলেন, দুইদিন ধরে কারেন্ট নাই। রাতে অন্ধকার,আর গরমের কারনে কষ্টের শেষ নাই। অফিসকে ফোন দিলে কোনো উত্তর পাওয়া যায় না। কবে বিদ্যুৎ আসবে জানি না।
জুনেদ আহমদ বলেন, লাইলাতুলক দরের মহান রজনীতে বিদ্যুৎ নেই। মানুষ প্রচন্ড গরমে দিশেহারা। বিদ্যৎ আসার নাম নেই। বাসা বাড়িতে থাকা মাছ মাংস পঁচে যাচ্ছে। মোবাইলে চার্জ নেই। কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না।
সুনামগঞ্জ পল্লী বিদুৎ সমিতির ম্যানেজার সুজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, আমাদের কর্মীরা রাতদিন কাজ করছেন। আমরা চেষ্টা করছি। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ সেবা চালু হয়েছে। আশা করছি আগামীকালের মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা শতভাগ স্বাভাবিক হবে।
আগের সংবাদ
পরবর্তী সংবাদ
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03