আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন

একইদিনে প্রার্থীতা ঘোষনা করলেন মিসবাহ -আনোয়ার

একইদিনে প্রার্থীতা ঘোষনা করলেন মিসবাহ -আনোয়ার

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।

বৃহস্পতিবার বেলা পাঁচটার দিকে সিলেটের দ্বিতীয় বার হলে জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক বাজেট সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন। তিনি ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সিলেটের সরকারি কৌঁসুলির (পিপি) দায়িত্ব পালন করেন।

এই সভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ারও আশা প্রকাশ করেছেন মিসবাহ সিরাজ। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে তৎপর রয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। দলের হাইকমান্ড থেকে তাকে ইতোমধ্যে সবুজ সংকেত প্রদান করা হয়েছে বলেও আনোয়ারুজ্জামান অনুসারীরা প্রচার করছেন। সম্পতি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে আঁটঘাট বেঁধেই মাঠে নেমেছেন আনোয়ারুজ্জামান। বৃহস্পতিবার তার একটি অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনও উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, মেয়র পদে আনোয়ারুজ্জামানকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে এমন খবরে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সম্প্রতি গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে- মেয়র পদে আনোয়ারুজ্জামানকে দলীয় মনোনয়ন প্রদানের প্রচারণার সত্যতা নেই।

জানা যায়, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের অন্তত পাঁচ নেতা মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চাচ্ছেন। তারা হলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুল, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ এবং সাবেক মেয়র প্রয়াত বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের ছেলে ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান আহমদ শিপলু। তারা সকলেই মেয়র পদে প্রার্থী হতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। জনসংযোগ এবং প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন অনেকে।

এরকম অবস্থায় বৃহস্পতিবার আইনজীবী সমিতির সভায় মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, ‘আমি আগামী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার হত্যাকারী খন্দকার মোশতাক আহমেদ সিলেটে এলে আমি তাকে গণপিটুনি দেওয়ায় নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। এ কারণে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১৭ মাস জেল খেটেছি। দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছি। এ ছাড়া মেয়র নির্বাচনে অংশ নিতে অনেক দিন ধরে কাজ করছি। তবে যেহেতু আমি দল করি, তাই দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’

মিসবাহ বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। এখানে দলের যে কেউ মনোনয়ন চাইতেই পারেন। গত সিটি নির্বাচনে আমিও দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম। আগামী নির্বাচনেও আমি দলীয় মনোনয়ন চাইব। নির্বাচনে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কাজ করছি।’