তারুণ্যের নেতৃত্বের বিকাশে কাজ করছে ‘ইউপিজি’

তারুণ্যের নেতৃত্বের বিকাশে কাজ করছে ‘ইউপিজি’

বিশ্বব্যাপী তরুণদের মধ্যে দক্ষতা বৃদ্ধি ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ‘ইউপিজি সাস্টেইন্যাবিলিটি লিডারশীপ প্রোগ্রাম’। সুইজারল্যান্ডের জেনেভা ভিত্তিক ইউনাইটেড পিপল গ্লোবাল এবং আমেরিকার হারিকেন আইল্যান্ড সেন্টার ফর সাইন্স এ্যন্ড লিডারশীপের যৌথ উদ্যোগে জাতিসংঘের ১৭টি এসডিজি অর্জনের জন্য প্রতি বছর এ লিডারশীপ প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়ে থাকে। 

প্রতিবছরের মতো ২০২৪ সেশনেও বিশ্বের প্রায় ১২০টি দেশের প্রায় ১৩,০০০ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ১ম রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিত্তিতে যোগ্য শিক্ষার্থীদের শর্টলিস্টেড করেছে প্রোগ্রাম আয়োজকরা। শর্টলিস্টেড শিক্ষার্থীদের প্রায় ৯ সপ্তাহের ট্রেনিং সেশন আয়োজনের  মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশ, দক্ষতা বৃদ্ধি ও টেকসই বিশ্ব নির্মাণের উপযোগী করে তুলতে কাজ করছে ইউপিজি। এই প্রোগ্রামটি টেকসই বিশ্ব নির্মাণে এসডিজি এর ১৭টি লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। 

‘ইউপিজি সাস্টেইন্যাবিলিটি লিডারশীপ প্রোগ্রাম-২০২৪’ এ শর্টলিস্টেড হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার নিহা। টেকসই বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এই প্রোগ্রামটিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিহা তার নেতৃত্বের দক্ষতা বিকাশের পাশাপাশি বিশ্ব সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গিও প্রসারিত করেছেন।

নিহার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) ৩ ও ৫। সুস্থ জীবন ও সুস্থতা এবং লিঙ্গ সমতা অর্জনের মাধ্যমে টেকসই বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের বিষয়ে নিহা বলেন, আমার বিভাগের সিনিয়র হাবিবুর রহমান মাসরুরের মাধ্যমে এ প্রোগ্রামে যোগদানের প্রেরণা পেয়েছি। তার অভিজ্ঞতা শুনে এ প্রোগ্রামের অংশ হতে আগ্রহী হয়েছি।

টেকসই বিশ্ব গঠনের অংশীদার হওয়ার বিষয় উল্লেখ করে নিহা বলেন, ‘ইউপিজি একটি অসাধারণ প্লাটফর্ম। এখানে আমি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের তরুণদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছি এবং তাদের সাথে আমার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের দলের নাম 'দ্যা গ্রিন আর্কিটেক্ট'। আমরা সকলেই একসাথে কাজ করছি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য।’

নিহা আরো বলেন, ইউপিজির প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমার যোগাযোগ, নেটওয়ার্কিং এবং নেতৃত্বের দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি, ধৈর্য্য এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আশাকরি, ইউপিজি থেকে অর্জিত জ্ঞান আমার ভবিষ্যত উন্নয়নে কাজে লাগবে এবং এ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে আমি আমার সম্প্রদায়ের সার্বিক উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে পারবো।