পঞ্চব্রীহি দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চান আবেদ চৌধুরী

পঞ্চব্রীহি দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চান আবেদ চৌধুরী

দীর্ঘদিন ধরে ধান নিয়ে কাজ করছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার জিনবিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী। গবেষণার ফল হিসেবে বোরো জাতের নতুন ধানগাছ উদ্ভাবন করেছেন তিনি। প্রথমবারের মতো আবেদ চৌধুরী উদ্ভাবিত ‘পঞ্চব্রীহি’র একটি ধানগাছ একবার রোপণ করে তা থেকে বছরে পাঁচবার ফলন পাওয়া গেছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশনের অর্থায়নে বিডিওএসএনের তত্ত্বাবধানে এক বছর মেয়াদি (আইভিইএমআরভিএম) প্রকল্পের মাধ্যমে উচ্চফলনশীল ধানের এ জাতের চাষ করা হয়েছে। ২০১০ সালে প্রথম কুলাউড়ার হাজীপুরে ২৫ বর্গমিটার জমিতে ২০টি ধানের জাত নিয়ে গবেষণা শুরু করেন আবেদ চৌধুরী। তিন বছরে গবেষণা করলে দেখা যায়, নির্দিষ্ট ধরনের এ জাত একই গাছে পাঁচবার ফলন দিতে সক্ষম। নতুন পঞ্চব্রীহি ধানের জাত এখন ছড়িয়ে দেওয়ার উপযোগী। এ জন্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। এ ধান তিন গুণ কম খরচে উৎপাদন করা যাবে বলেও জানান এ জিনবিজ্ঞানী। আবেদ চৌধুরী আরও বলেন, দেশের পতিত জমিতে সারা বছর পঞ্চব্রিহি উৎপাদনে কৃষক ও তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

আবেদ চৌধুরী কুলাউড়ার হাজীপুর ইউনিয়নের কানিহাটি গ্রামের সন্তান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা শেষে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় গবেষণা সংস্থার প্রধান ধান বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত। ডায়াবেটিস প্রতিরোধক রঙিন ভুট্টা ও লাল চালের উদ্ভাবক তিনি।

পঞ্চব্রীহি ধান চাষে প্রথমবার ১১০ দিন পর ফলন আসে। পরের ফলন আসে ৪৫ দিন অন্তর। একবার বোরো, দুবার আউশ ও দুবার আমন ধানের ফলন পাওয়া যাবে। পঞ্চব্রীহি ধান প্রথমবার হেক্টরপ্রতি উৎপাদন হয় চার টন।  সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব ও হাওর কৃষি বিভাগের অধ্যাপক মোজাম্মেল হক জানান, তারা বহুব্রিহি নিয়ে আবেদ চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।

উপজেলা কৃষি অফিসার জসিম উদ্দিন বলেন, তাঁর কাছে বীজ সংগ্রহের প্রস্তাব দিয়েছি। এটি চাষ করে কৃষকরা অল্প পুঁজিতে অধিক লাভবান হবেন বলে আশাবাদী।