শাবির দুই শিক্ষার্থীকে স্থানীয়দের মারধরের অভিযোগ

শাবির দুই শিক্ষার্থীকে স্থানীয়দের মারধরের অভিযোগ

সিএনজি চালকের সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে।

সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম তামিম এবং বেনজীর আহমেদ নাহিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সিএনজি চালকের সাথে ভাড়া নিয়ে বিতর্ক হয় দুই শিক্ষার্থীর। এসময় শিক্ষার্থী এবং সিএনজি চালকের মাঝে বাকবিতন্ডা বাড়তে থাকলে এলাকার এক মুরব্বীসহ স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে আসেন। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকের বিপরীতে অবস্থিত আওয়ামী যুবলীগের পার্টি অফিসের সামনে থেকে কয়েকজন যুবক এসে এলোপাতারি কিল, ঘুষি দিতে থাকে ওই দুই শিক্ষার্থীকে। এর মাঝেই সেখানে উপস্থিত আরো কিছু যুবক যুবলীগের পার্টি অফিস থেকে রড, স্ট্যাম্প নিয়ে এসে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মারতে উদ্যত হয়। তখন সেখানে থাকা লোকজন তাদের দুইদিকে ফিরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সহকারী প্রক্টর উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সাথে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম তামিম বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী তোলার পর সিএনজি ড্রাইভার ভাড়া বেশি নিতে চাইলে আমরা প্রতিবাদ করি। এসময় ড্রাইভার খুব বাজে ব্যবহার করে চড়াও হয় আমাদের উপর। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকের সামনে বাকবিতন্ডা চলার এক পর্যায়ে এর জের ধরে কয়েকজন যুবক এসে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল বলেন, ভাড়া নিয়ে দুই শিক্ষার্থীর সাথে সিএনজি চালকের বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে তারা সিএনজি চালকের উপর হাত তোলে। এসময় সেখানে উপস্থিত স্থানীয় এক মুরুব্বি এগিয়ে আসেন।

স্থানীয় মুরব্বি জানান, স্থানীয়দের এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই শিক্ষার্থী গালিগালাজ শুরু করেন। এসময় মুরব্বির সাথে থাকা কিছু যুবক ওই মুরব্বিকে গালিগালাজ করেছে মনে করে শিক্ষার্থীদের উপর হাত তোলে। আবার ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী বলছে তারা গালিগালাজ করে নি।

শিক্ষার্থীরা সিএনজি ড্রাইভারের গায়ে হাত তুললে এর সমাধান করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ওই সিএনজি ড্রাইভার, কেন যুবলীগের পার্টি অফিস থেকে স্ট্যাম্প, রড নিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হবে এমন প্রশ্ন করা হলে আবু হেনা পহিল বলেন, সিএনজি চালকের উপর শিক্ষার্থীর হাত তোলার জের ধরে সেখানে আশেপাশের লোকজন আসে এবং স্থানীয়দের সাথে এ ঘটনার সূত্রপাতও সেখান থেকে। এর পরবর্তী ঘটনা যেটা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণই স্থানীয়দের এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে ভুল বোঝাবোঝি।

এরপর দুই পক্ষ থেকেই যারা ভুল করেছে তারা সমঝোতার মাঝেই বিষয়টি সমাধান হয়েছে। আমরাও সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আশাকরি পরবর্তীতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না।