সিলেটে দুই কারণে কমেছে সংক্রমণ

সিলেটে দুই কারণে কমেছে সংক্রমণ

সিলেটে প্রায় ১০ দিন থেকে কমতে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। সেইসঙ্গে কমছে হাসপাতালে রোগীর চাপ। এখন প্রায় ৩০ শতাংশ শয্যা খালি রয়েছে করোনা হাসপাতালগুলোতে।

১০ দিন আগেও যেখানে শয্যা না পেয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করোনা রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, সেখানে শয্যা ফাঁকা থাকলেও প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা একেবারেই হাতেগোনা। তবে এখনো আইসিইউ শয্যার চাহিদা কমেনি। সংক্রমণ কমে আসার কারণ হিসেবে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের শক্তি কমা এবং নতুন এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে মানুষের অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়াকে বিবেচনায় নিচ্ছেন সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়।

সোমবার দুপুরে সিলেটের একমাত্র করোনা ডেডিকেটেড ডা. শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সৈয়দ নাফি মাহদি বলেন, আইসিইউ শয্যাগুলোতে রোগী থাকলেও সাধারণ শয্যা অনেকটাই ফাঁকা। মোট ১০০ শয্যার হাসপাতালে আইসিইউ এবং সাধারণ শয্যা মিলে রোগী ভর্তি আছেন ৭০ জন। সে হিসেবে ৩০ শতাংশ শয্যা ফাঁকা পড়ে আছে।

অপরদিকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মাহবুবুল আলম জানান, করোনা আইসোলেশন সেন্টারে আইসিইউ এবং সাধারণ শয্যা মিলে মোট ৩২৫টি শয্যা থাকলেও রোগী ভর্তি আছেন ২৩০ জন। তবে সেখানেও আইসিইউ কোনো শয্যা ফাঁকা নেই।

একইভাবে বিভাগের অন্যান্য জেলা হাসপাতালেও রোগীর চাপ কমে এসেছে। ১৫ দিন আগেও সিলেটে শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ ছুঁইছুঁই থাকলেও এক সপ্তাহ থেকে ২০ শতাংশের ভেতর অবস্থান করছে। সংক্রমণ কমে আসার কারণ হিসেবে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, কোনো একটি সংক্রমণের মূল ঢেউ থাকে ২৫ থেকে ২৮ দিন। আমরা সে সময় অতিক্রম করে এসেছি অন্তত ১৫ দিন আগে।

সে হিসেবে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের শক্তি কিছুটা হয়তো কমে এসেছে। একই সঙ্গে অনেকেই ডেল্টায় আক্রান্ত হয়ে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তাই সংক্রমণ কিছুটা কমে এসেছে। স্বাস্থ্য সচেতনতা বজায় থাকলে সংক্রমণ আরো কমে আসবে।