উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
কে কত ভোট পেলেট
শান্তিপূর্ণভাবে সিলেটের ৪টি উপজেলায় ৬ষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। ওইদনি রাতেই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফল অনুসারে সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. সুজাত আলী রফিক কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ২৩ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীক নিয়ে মো. সামছুল ইসলাম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৬৩ ভোট। এছাড়াও ডা. খলিলুর রহমান টেলিফোন প্রতীকে ১২হাজার ৫৯১ ভোট, মো. এজাজুল হক মোটরসাইকেল প্রতীকে ৬ হাজার ৭৯৬ ভোট, মো. আহাদ মিয়া দোয়াত-কলম প্রতীকে ৫হাজার ৪০১ ভোট ও মিল্লাত আহমদ চৌধুরী ঘোড়া প্রতীকে ৪হাজার ৮৬৩ ভোট পেয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উড়োজাহাজ প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ১৮ হাজার ৬৪২ ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ওলিউর রহমান টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে ১১হাজার ৮৫৮ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও জাকির হোসেন চশমা প্রতীকে ১১হাজার ৩৭৯ ভোট, সেলিম আহমদ মাইক প্রতীকে ৯হাজার ২৩১ ভোট, বিলাশ ব্যানার্জী ৪ হাজার ৩৮ ভোট, টিউওয়েল প্রতীকে নিজাম আহমদ ৪হাজার ২৭ ভোট, বই প্রতীকে রথীন্দ্র লাল দাস ৩ হাজার ৪০৮ ভোট, তালা প্রতীকে নুরুল ইসলাম ২ হাজার ৬৯৯ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফুটবল প্রতীক নিয়ে হাছিনা আক্তার বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৯২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পদ্ম ফুল নিয়ে দিলরুবা আক্তার ৩০ হাজার ৫৮১ পেয়েছেন।
দক্ষিণ সুরমায় চেয়ারম্যান পদে মো: বদরুল ইসলাম ২০ হাজার ৬১৫ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটর সাইকেল প্রতীকে ১৪ হাজার ৯৫৫ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও মোহাম্মদ জুয়েল আহমদ ঘোড়া প্রতীকে ১২হাজার ৩৯১ ভোট, আনারস প্রতীকে মো: মইনুল ইসলাম ৫হাজার ৯৩ ভোট ও মো. সাহেদ মোশাররফ কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৪হাজার ৯৯ ভোট পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান মাইক নিয়ে ১৯ হাজার ৬৮৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীক নিয়ে ফয়েজ আহমদ পেয়েছেন ১৮হাজার ২৯০ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আইরিন রহমান কলি পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ২৯৮ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকে ১৮ হাজার ৮২০ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও অপর প্রার্থী কলস প্রতীকে হালিমা আক্তার পেয়েছেন ১৭ হাজার ৮০১ ভোট।
বিশ্বনাথ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী ১৩ হাজার ৩২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন আহমদ ১২ হাজার ৯৬৮ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও মো: সেবুল মিয়া ১১ হাজার ৬৯৯ ভোট, আলতাব হোসেন ৮ হাজার ৭০৩ ভোট, গৌছ খান ৫ হাজার ৭৮৮ ভোট, শমসাদুর রহমান রাহিন ২হাজার ১৫০ ভোট, ভোট, আব্দুল রোসন চেরাগ আলী ১হাজার ৬৪৪ ভোট, আকদ্দুছ আলী ৪০৩ ভোট ও সফিক উদ্দিন পেয়েছেন ৫১৮ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ হাজার ৯৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মুহিবুর রহমান সুইট, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন মো: ইসলাম উদ্দিন পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫১২ ভোট। এছাড়াও আব্দুর রব চশমা প্রতীকে ১১ হাজার ৪০ হাজার, মো: সিরাজ মিয়া ৮ হাজার ৩০৫টি ভোট, মোহাম্মদ কাওছার খান পেয়েছেন ৪ হাজার ৩২৯ ভোট ও পার্থ সারথি দাশ পাপ্পু পেয়েছেন ৩ হাজার ৭১৮ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা. করিমা বেগম ২৩ হাজার ৬৫৯ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জুলিয়া বেগম ১৮ হাজার ১৫৬ ভোট পেয়েছেন। অপর প্রার্থী বেগম স্বপ্ন শাহীন ১৫ হাজার ৩৪২ ভোট পেয়েছেন।
এদিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিমকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে ৮ হাজার ৭৭২ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭৮৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল পেয়েছেন ২৯ হাজার ১৭ ভোট।
চেয়ারম্যান পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৯৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ২১ হাজার ৬৩০ ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেন চশমা প্রতীকের প্রার্থী মো. নাবেদ হোসেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো.লবিবুর রহমান টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৫২০ ভোট। নির্বাচনে টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ আজম পেয়েছেন ১৫ হাজার ৭৮৮ ভোট, তালা প্রতীক নিয়ে ফরহাদ আহমদ পেয়েছেন ১৫হাজার ৪১৩ ভোট। এছাড়াও বই প্রতীকের প্রার্থী আকমল হোসেন পেয়েছেন ৯ হাজার ৫৩৯ ভোট।
অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে সেলিনা আক্তার শীলা ৪৬ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নার্গিছ আক্তার পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯৫৭ ভোট।