সিলেটে আইএলএসটির ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ

সিলেটে আইএলএসটির ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ

সিলেটে নতুন স্থাপিত ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক (প্রাণিসম্পদ) সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইএলএসটি) নির্মাণকাজ প্রায় ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। দেয়াল নির্মাণ, ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণের কিছু কাজ চলছে। আগামী জুনের মধ্যেই অবশিষ্ট কাজ শেষ করে প্রকল্প হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ড. মারুফ হাসান জানিয়েছেন, জুলাই থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, নগরীর টিলাগড় আলুরতলে প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ একর জায়গা নিয়ে স্থাপিত হয়েছে আইএলএসটি। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই এর অবস্থান। প্রকল্পের আওতায় এরই মধ্যে নির্মাণ হয়েছে একাডেমিক ভবন, ছাত্রছাত্রীদের জন্য পাঁচতলার দুটি হোস্টেল, শিক্ষকদের আবাসিক ভবন, ডরমেটরি ভবন, চিকিৎসা ও গবেষণার কাজের জন্য প্রাণী রাখার শেড, তিনতলা  ভেটেরিনারি ক্লিনিক ও মসজিদ। ভবনগুলোর কাজ শেষ হয়েছে। দেয়াল ও ভেতরের রাস্তার কিছু কাজ বাকি আছে। তবে সেসব কাজ দ্রুতই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা।

ইনস্টিটিউটে প্রাণিসম্পদ বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্সে প্রতি বছর এসএসসি উত্তীর্ণ ৬০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে। চার বছর মেয়াদি কোর্সে প্রাণী চিকিৎসা, পালন ও উন্নয়নসহ প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত সব বিষয়ে পড়ানো হবে। ইনস্টিটিউট থেকে কোর্স সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীরা সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে যোগদান অথবা নিজেই প্রাণী চিকিৎসাসেবা প্রদান বা উদ্যোক্তা হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারবে।

প্রকল্প পরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ও প্রাণিসম্পদ সেবা তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার যে পরিকল্পনা নিয়েছেন, তারই বাস্তবায়ন এ ইনস্টিটিউট। এখান থেকে কোর্স সম্পন্নকারীরা প্রান্তিক পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ সেবা পৌঁছে দেবে।’

এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ড. মারুফ হাসান বলেন, ‘সিলেট বিভাগে এই প্রথম আইএলএসটি স্থাপন করা হয়েছে যা এ অঞ্চলের ছেলেমেয়েদের প্রাণিসম্পদ বিষয়ে পড়ালেখার নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। দীর্ঘদিন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসই পুরো উপজেলায় প্রাণী চিকিৎসা ও উন্নয়ন কার্যক্রম দেখভাল করত। এখন সরকার প্রতি ইউনিয়নে উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিয়োগ দিচ্ছে। ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীরা সরাসরি উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করতে পারবে। আগামী জুলাই থেকেই শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা নিয়ে আমার এগিয়ে যাচ্ছি। সিলেট অঞ্চলে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের প্রাণিসম্পদের উৎপাদন দিন দিন বাড়ছে। এজন্য এখন দক্ষ জনবলের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে।’