সিলেটজুড়ে বন্যার শঙ্কা

সিলেটজুড়ে বন্যার শঙ্কা

টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারী বৃষ্টি ও উজানি ঢলের কারণে সিলেট, সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা গত কয়েক দিনের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। শনিবার দিনভরও সিলেটে বৃষ্টি ছিল। চলমান এ বৃষ্টি আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানা যায়, শনিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় সিলেটের সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

এদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার বেশ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ৯.৪৫ সেন্টিমিটার। বিকেল ৩টায় এ পয়েন্টে পানি ৮.৯৭ পয়েন্ট দিয়ে প্রবাহিত হয়।

আর গোয়াইনঘাটে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ১২ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।

অন্যদিকে সিলেট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি সন্ধ্যা ৬টায় ১০ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। এছাড়া এ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আর কুশিয়ারা নদীর পানি শেওলা পয়েন্টে ১১ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ পয়েন্ট পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক শূন্য ৫ সেন্টিমিটার।

এছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে ১৩ দশমিক ৪৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। আর শেরপুর পয়েন্টে এ নদীর পানি সন্ধ্যা ৬টায় ৭ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। অন্যদিকে লোভা ছড়া নদীর পানি ১৩ দশমিক ৯৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, সিলেটে এখনো কোনো নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। সিলেটে বন্যা হওয়ার তেমন আশঙ্কা নেই, তবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।